পাঁচদিন পর ভারতে ৭০ হাজারের নিচে সংক্রমণ
প্রাণঘাতি করোনায় অন্ধকার দেখছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। যেখানে ভাইরাসটির তাণ্ডবে প্রতিদিনই এখনও বহু মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। একইসঙ্গে টানা পাঁচদিন পৌনে এক লাখ করে শনাক্তের পর গত ২৪ ঘণ্টায় তা ৭০ হাজারের নিচে নেমেছে। দেশটিতে ভাইরাসটির শিকার এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৭ লাখ মানুষ। তবে, আক্রান্তদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ রোগীই সুস্থতা লাভ করেছেন।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৯ হাজার ৯২১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা একদিনের নিরিখে সর্বোচ্চ। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬ লাখ ৯১ হাজার ১৬৬ জনে দাঁড়িয়েছে। যার ষাট শতাংশই চার রাজ্যের (মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ)।
অন্যদিকে, গত একদিনে প্রাণহানি ঘটেছে ৮১৯ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজার ২৮৮ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৩৩ লাখ ২৪ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় সাড়ে ৯ লাখ।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। তারপরেই তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানা। এদিকে বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের পরে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত দেশ হলো ভারত। আর প্রাণহানিতে চতুর্থ।
এদিকে মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৯২ হাজারের বেশি। মৃত্যু হয়েছে ২৪ হাজার ৫৮৩ জন মানুষের।
আক্রান্তের তামিলনাড়ুকে পেছনে ফেলে দুইয়ে উঠে এসেছে অন্ধ্রপ্রদেশ। যেখানে করোনার শিকার ৪ লাখ ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ। তবে, প্রাণহানি কিছুটা কম এখানে। যার সংখ্যা ৩ হাজার ৯৬৯ জন মানুষের তিনে থাকা তামিলনাড়ুতে মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ৯২ হাজারের বেশি। আর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ সাড়ে ২৮ হাজারে দাঁড়িয়েছে।
দিল্লিতে করোনার থাবায় প্রাণ গেছে ৪ হাজার ৪৪৪ জনের। আর ভুক্তভোগীর সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৭৪ হাজারের বেশি। বর্তমানে সেখানে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে করোনার দাপট।
সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
আর গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতা লাভ করেছেন ৬৫ হাজার ৮১ জন রোগী। এতে করে বেঁচে ফেরার সংখ্যা ২৮ লাখ ৩৯ হাজার ৮৮২ জনে দাঁড়িয়েছে। যা ভারত সরকারকে স্বস্তি দিচ্ছে। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৭ লাখ ৮৬ হাজারের কাছাকাছি।
No comments: