Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » যশোরে ব্যবসায়িক দেনার কারণে খুন হন কাঠ ব্যবসায়ী মোস্তফা




যশোরে ব্যবসায়িক দেনার কারণে খুন হন কাঠ ব্যবসায়ী মোস্তফা

ব্যবসায়িক দায়দেনা ও একচ্ছত্র ব্যবসা পরিচালনাকে কেন্দ্র করে গোলাম মোস্তফাকে (৫৫) পরিকল্পিতভাবে খুন করে আবদুল্লাহ আল মামুন (৩৩) ও সহিদুল ইসলাম (৩৭)। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর ৩টায় নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য দেন যশোরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন। আটককৃত আবদুল্লাহ আল মামুন যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে ও সহিদুল্লাহ ইসলাম শাখারীগাতি গ্রামের মাজেদ মোল্লার ছেলে। পুলিশ সুপার বলেন, গত ২৫ অক্টোবর সকালে যশোর সদরের চুড়ামনকাটি ঘোনা রোড এলাকায় ভৈরব নদ থেকে মোস্তফার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর নিহতের স্ত্রী সালমা বেগম অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এরপর বুধবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ডিবি পুলিশের ইনচার্জ সোমেন দাশের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালিয়ে চুড়ামনকাটি থেকে কাঠ ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার করেন। এরপর তার দেওয়া তথ্যমতে, যশোর শহরের মুড়লি মোড় থেকে তার সহযোগী সহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বলেন, কাঠ ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফার কাছ থেকে ব্যবসায়িক কারণে প্রায় আড়াই লাখ টাকা সুদে ঋণ নেন অপর ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুন। ঋণগ্রহণের পর প্রায় ১০ লাখ টাকা দেওয়ার পরেও টাকা পরিশোধ হয়নি বলে দাবি গোলাম মোস্তফার। আরও টাকা পাবে মর্মে আবদুল্লাহকে বহুবার অপমানও করেছেন। সে কারণে ক্ষুব্ধ হন আবদুল্লাহ এবং গোলাম মোস্তফাকে খুন করার পরিকল্পনা করেন। ওই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি তার বন্ধু পরিবহন শ্রমিক সহিদুল ইসলামকে ম্যানেজ করেন। ঘটনার দিন আবদুল্লাহ আল মামুন মোবাইল ফোনে গোলাম মোস্তফাকে জানান, বড় একজন কাঠ ব্যবসায়ী এসেছেন। তার সঙ্গে যেন সন্ধ্যায় দেখা করেন। এরপর সন্ধ্যায় তারা তিনজন একটি মোটরসাইকেলে করে চৌগাছার সলুয়া বাজারে যান। সেখান থেকে ফেনসিডিল সেবনের পরে ফের মোটরসাইকেলে ঘোনা এলাকায় যান এবং সেখানে গাঁজা সেবন করেন। একপর্যায়ে আবদুল্লাহ আল মামুন তার সহযোগী সহিদুল ইসলামের সহায়তায় ছুরি দিয়ে গোলাম মোস্তফার গলায় পোঁচ দেন। মৃত্যু নিশ্চিত হলে তাকে বুড়িভৈরবে ফেলে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে তারা চলে যায়। পুলিশ সুপার আরও বলেন, আসামি গ্রেফতার ছাড়াও গোলাম মোস্তফার ব্যবহৃত মোবাইলফোন সেটসহ তিনটি ফোন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বার্মিজ চাকু ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম, সালাহউদ্দিন সিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply