ঢাবিতে ১২ টাকায় পড়ে শিক্ষার্থীরা, বিদেশিরা বলে ইটস অ্যামাজিং : উপাচার্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। ফাইল ছবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে, যারা ১২ বা ১৫ টাকায় পড়াশোনা করে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
উপাচার্য বলেন, ‘বিদেশি ডেলিগেটরা এলে তারা এটা শুনে অবাক হয়ে বলে, ইটস অ্যামাজিং! এটা আমাদের রেকর্ড।’
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য এসব কথা বলেন।
‘শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : এ আমার অহংকার, এখনই সময় দায় মোচনের’ এই অঙ্গীকার নিয়ে ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আয়োজন করে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।
টিএসসির মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘টিএসসি যখন নির্মাণ হয়েছিল, তখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল কম। আজ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু টিএসসি আগের মতোই রয়েছে। সেজন্যই প্রধানমন্ত্রী টিএসসির পুনর্বিন্যাসের জন্য আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন।’
‘আমরা এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত করেছি। প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন পরই হয়তো সেটা দেখবেন’, যোগ করেন উপাচার্য।
আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং নিয়েও বক্তব্য দেন উপাচার্য। তিনি বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে। আমরা বিশ্বব্যাপী র্যাঙ্কিংয়ে ভালো অবস্থানে থাকলে এর একটি প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপর পড়ে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাঙ্কিংয়ের জন্য বছরব্যাপী বাজেট থাকে। টাইমস হায়ার এডুকেশন, ইউএস র্যাঙ্কিংও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। অনেক সময় আমরা সেগুলো উপেক্ষা করতাম। এ কারণে এত দিন আমরা তথ্য দেইনি। আমরা বলতাম, র্যাঙ্কিংয়ে অংশগ্রহণ করব না। তবে, কয়েক বছর ধরে আমরা র্যাঙ্কিংয়ে অংশগ্রহণ করছি, একটু একটু তথ্য দিচ্ছি।’
বিদেশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থী কম থাকায় র্যাঙ্কিংয়ে ঢাবির অবস্থান পেছনে বলে জানান উপাচার্য।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব রঞ্জন কর্মকারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভুইয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন প্রমুখ।
Tag: Advertisement politics
No comments: