না ফেরার দেশে আরও ৯১৭ মার্কিনি

বিশ্বের অন্যান্য দেশে করোনার তাণ্ডব কিছুটা কমলেও বিপরীত চিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। যেখানে এখনও গড়ে অর্ধলক্ষাধিক মানুষের করোনা শনাক্ত হচ্ছে। গত একদিনেও যার ব্যত্যয় ঘটেনি। থেমে নেই প্রাণহানিও। নতুন করে ৯১৭ মার্কিনির প্রাণ কেড়েছে ভাইরাসটি। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার নিয়মিত পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬১ হাজার ৪২৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৮৫ লাখ ২০ হাজার ৩০৭ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ৯১৭ জন। এ নিয়ে প্রাণহানি বেড়ে ২ লাখ ২৬ হাজার ১৪৯ জনে ঠেকেছে। অপরদিকে, সুস্থতা লাভ করেছেন আরও ৪২ হাজার ৩৫১ জন রোগী। এতে করে বেঁচে ফেরার সংখ্যা ৫৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬১৯ জনে পৌঁছেছে। চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি শিকাগোর এক বাসিন্দার মধ্যে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর থেকে ক্রমান্বয়ে ভয়ানক হতে থাকে পরিস্থিতি। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ধারণা ইতোমধ্যে তাদের দেশের অন্তত ২০ মিলিয়ন (দুই কোটি) মানুষ করোনার শিকার হয়েছেন। দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) বলছে, ‘প্রকৃত তথ্য হলো, প্রকাশিত সংখ্যার অন্তত ১০ গুণ বেশি মানুষ করোনার ভয়াবহতার শিকার।’ এর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা ক্যালিফোর্নিয়ায়। প্রাণহানি তুলনামূলক কম হলেও এ শহরে করোনার শিকার ৮ লাখ ৮৫ হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৭ হাজার ২৮ জনের। সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হার দীর্ঘ হচ্ছে টেক্সাসে। এ শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৮২ হাজার ছুঁই ছুঁই। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ১৭ হাজার ৬৮০ জনের। ফ্লোরিডায় করোনার শিকার ৭ লাখ ৬০ হাজারের বেশি। ইতোমধ্যে সেখানে ১৬ হাজার ১১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। প্রাণহানিতে শীর্ষ শহর নিউইয়র্কে আক্রান্ত ৫ লাখ ২২ হাজার অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে না ফেরার দেশে ৩৩ হাজার ৫০৭ জন ভুক্তভোগী। ইলিনয়েসে এখন পর্যন্ত করোনার ভুক্তভোগী ৩ লাখ ৫৪ হাজারের বেশি। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৯ হাজার ৫৩৭ জন। জর্জিজায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৪২ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে প্রাণ ঝরেছে ৭ হাজার ৬৭৪ জনের। অ্যারিজোনায় আক্রান্ত ২ লাখ ৩৩ হাজার ছুঁই ছুঁই। যেখানে প্রাণ গেছে ৫ হাজার ৮৩৭ জনের। নিউ জার্সিতে করোনার শিকার ২ লাখ ২৬ হাজার ছুঁই ছুঁই। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ১৬ হাজার ৩৫৭ জনের। এছাড়া ম্যাসাসুয়েটসস, পেনসিলভেনিয়া, , লুসিয়ানা, টেনেসি ও অ্যালাবামার মতো শহরগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে।