প্রিন্সেস ডায়ানা ও ট্রাম্পের প্রেমকাহিনি প্রিন্সেস ডায়ানা ও ট্রাম্পের প্রেমকাহিনি
। তাকে কাছে পাওয়ার জন্য পাগলের মতো চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু ফলাফল শূন্য। ডায়ানার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎও করতে পারেননি ব্যবসায়ী সম্রাট, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, বিলিয়নিয়ার ডোনাল্ড ট্রাম্প। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প প্রিন্সেস ডায়ানাকে কাছে পাওয়ার জন্য কি করেননি? বর্তমানে শুনলে তা অবাক ও অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, মোহনীয় সৌন্দর্যে সত্যিকারের নারী ছিলেন প্রিন্সেস ডায়ানা। তিনি ছিলেন সত্যিকার অর্থে সুন্দরী, রূপসী বলতে যা বুঝায় ঠিক তাই। ডায়ানাকে পাওয়ার জন্য এককথায় ট্রাম্প ছিলেন মরিয়া। উল্টোটা ছিলেন ডায়ানা। ১৯৯৫ সালে নিউইয়র্কে একটি নৈশভোজে প্রথম সাক্ষাৎ হয় ট্রাম্প ও ডায়ানার। তখন থেকেই ডায়ানাকে পাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগেন ধনকুবের ট্রাম্প। কোনো ধরনের রাখঢাক ছাড়াই ডায়ানার সঙ্গে রোমান্টিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চেয়েছেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ডায়ানাকে খুশি করার জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন তিনি। একবার বেশ কয়েক জোড়া ফুলের তোড়া কিংসটন প্যালেসে পাঠান ট্রাম্প। ট্রাম্প যেমনটা আশা করেছিলেন, সে রকম কোনো সাড়াই দেননি প্রিন্সেস ডায়ানা। ডায়ানা ট্রাম্পের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তার প্রতিক্রিয়া জানান তার বন্ধুদের। জানতে চান, এখন আমার কী করা উচিত? বন্ধুদের ডায়ানা বলেছিলেন, ট্রাম্প আমার জন্য ফুলের তোড়া পাঠিয়েছে। সমস্যা কোথায় ছিল? ডায়ানা কি তাহলে ট্রাম্পের সঙ্গে ভবিষ্যৎ ভাবতে চাননি? সময়টা আসলে প্রিন্সেসের জন্য খুব কঠিন ছিল। তখন সবে মাত্র প্রিন্স চার্লস এবং প্রিন্সেস ডায়ানার বিচ্ছেদ হয়। সালটা তখন ১৯৯৬। গণমাধ্যমে তখন তাদের বিচ্ছেদের খবর নিয়ে নানা ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ হতে থাকে। নতুন সম্পর্কের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না ডায়ানা। কিন্তু মনেপ্রাণে ডায়ানাকে চাইতেন ট্রাম্প। তিনি ডায়ানার জন্য কিংসটন প্যালেসে অজস্ত্র উপহার পাঠিয়েছিলেন। ট্রাম্পের এমন আচরণে খুব বিব্রত হয়েছিলেন প্রিন্সেস। ট্রাম্পের এমন চাওয়া, আবেগ কীভাবে সামলাবেন তখন তিনি বুঝে উঠতেও পারেননি। ডায়ান এবং প্রিন্স চার্লসের তখন বিচ্ছেদ হয়নি। ট্রাম্প ডায়ানার এক বন্ধুর কাছে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিক জানতে চান। ট্রাম্প তখন অনেক জোর করেছিলেন। ডায়ানার জন্য অনেক অর্থ পাঠান। খুশি করার চেষ্টা করেন ডায়ানাকে। ১৯৯৭ সালে মর্মমান্তিক এক প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় প্রেমিক দোদি ফায়েদসহ প্রাণ হারান প্রিন্সেস ডায়ানা। সারাবিশ্বের মানুষের মতো ট্রাম্পও আঁতকে উঠেন। পরে ডায়ানার প্রতি তার অনুভূতি খোলাখুলিভাবে প্রকাশ করেন ট্রাম্প। বলেন, তার সঙ্গে আমার বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছে। আমি দেখেছি, তিনি কীভাবে মানুষের সহায়তায় এগিয়ে যান। তবে সে সময় তার সঙ্গে আমার অংশ নেয়া হয়নি। তিনি তার কর্মকাণ্ড দিয়ে পুরো আয়োজনকে উজ্জ্বল করে রাখতেন। তিনি ছিলেন সত্যিকারের প্রিন্সেস। সত্যিকারের নারী। সে সময় ট্রাম্প একটি ভয়াবহ দাবিও করেছিলেন। বলেছিলেন, প্রিন্সেস ডায়ানা আমার সঙ্গে একান্তে সময় কাটিয়েছেন। পরে অবশ্য ট্রাম্প তার এ বক্তব্যের জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন। বলেন, নারীঘটিত বিষয়ে আমার শুধু একটাই দুঃখ যে, আমি ডায়ানা স্পেন্সারের সঙ্গে প্রেম করার কোনো সুযোগ পাইনি। দি আর্ট অব দি কামব্যাক বইয়ে ট্রাম্প এ স্বীকারোক্তি প্রকাশ করেন। তার এ বক্তব্যে ডায়ানার ভালোবাসা না পেয়ে কতটা হতাশ ছিলেন তা ফুটে উঠে। সুন্দরী ডায়ানাকে পাওয়া আসলে সহজ কোনো বিষয়ও ছিল না। ট্রাম্প বলেন, ডায়ানা সত্যিকারের সুন্দরী। মানুষ তার সৌন্দর্য বুঝতে পারেনি। ট্রাম্প তার বইয়ে আরও লেখেন, ডায়ানার সময়ে তার মতো দ্বিতীয় আর কেউ ছিলেন না। তার সময়ে তার মতো সুন্দরীও কেউ ছিলেন না। তার উচ্চতা, তার চমৎকার মসৃণ ত্বক। তিনি ছিলেন অসাধারণ সুন্দরী। যদিও পরে ট্রাম্প ডায়ানাকে নিয়ে তার আবেগীয় অনুভূতি অস্বীকার করেছিলেন ট্রাম্প। বলেন, আমি তাকে সম্মান করি। সে রকম কোনো আগ্রহ তার প্রতি আমার ছিল না। তার সঙ্গে আমার একবার দেখা হয়েছিল। মনে হয়েছে তিনি অনেক আকর্ষণীয়। কিন্তু ট্রাম্প কেনো তার অনুভূতি অস্বীকার করেছিলেন? হয়তো বর্তমান মর্যাদা রক্ষায় পুরনো অতীত আর সামনে আনতে চাননি। ডায়ানার প্রতি ট্রাম্পের এ আকর্ষণবোধের কারণে ব্রিটিশ রাজপরিবারের সঙ্গে তার শীতল সম্পর্ক এখনো বিরাজমান। প্রিন্স হ্যারি এবং ম্যাগানের বিয়েতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি ট্রাম্পকে। ডায়ানার সন্তানও নিশ্চিতভাবে তার মায়ের প্রতি ট্রাম্পের প্রেমময় আবেগের বিষয়টি জানেন। লেডি ডায়ানা ফ্রান্সেস স্পেন্সার; বিয়ে পরবর্তী নাম ডায়ানা ফ্রান্সেস মাউন্টব্যাটেন-উইন্ডসর। ১ জুলাই ১৯৬১ সালের তার জন্ম। প্রিন্স চার্লসের প্রথম স্ত্রী, ১৯৮১ হতে ১৯৯৭ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের প্রিন্সেস ছিলেন তিনি। তার দুই পুত্র প্রিন্স উইলিয়াম এবং হ্যারি ব্রিটিশ সামরাজ্যের উত্তরাধিকারীদের তালিকায় যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয়। ১৯৮১ সালে বিয়ে পর থেকে ১৯৯৬ সালে বিয়েবিচ্ছেদ পর্যন্ত তাকে হার রয়্যাল হাইনেস দি প্রিন্সেস অফ ওয়েলস বলে সম্বোধন করা হতো। পরে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের আদেশে তাকে শুধু ডায়ানা, প্রিন্সেস অফ ওয়েলস বলে সম্বোধনের অনুমতি দেয়া হয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ডায়ানার পরিচিতি ব্যাপক। তিনি দানশীলতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। কিন্তু তার এই দাতব্য কার্যক্রম ঢাকা পড়ে যায় বিভিন্ন কেলেঙ্কারির গুজবে। যার মধ্যে ছিল তার বিয়েসংক্রান্ত কাহিনি। চার্লসের সঙ্গে ডায়ানার বিয়ে সুখে-শান্তিতে কাটেনি। ৯০ এর দশকে ডায়ানার পরকীয়া প্রেমের কাহিনি সারা বিশ্বের পত্রপত্রিকায় ছড়িয়ে পড়ে। চার্লসের বিশ্বাসঘাতকতাসহ নানা কারণে ১৯৯৬ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। চার্লসের সঙ্গে ১৯৮১ সালে বাগদানের পর থেকে ১৯৯৭ সালে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ডায়ানাকে বলা হতো পৃথিবীর সবচেয়ে খ্যাতিমান নারী। ফ্যাশন, সৌন্দর্য, এইডস রোগ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে তার অবদান, ভূমি মাইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন তাকে বিখ্যাত করে। জীবদ্দশায় ডায়ানাকে বলা হতো বিশ্বের সর্বাধিক আলোকচিত্রিত নারী। অবশ্য সমালোচকদের মতে এই খ্যাতি এবং খ্যাতির জন্য প্রচেষ্টাই ডায়ানার জীবনে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের প্যারিস শহরে ডায়ানা ও তার তখনকার প্রেমিক দোদি ফায়েদ এক গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত হন।Slider
বিশ্ব
জাতীয়
সাম্প্রতিক খবর
খেলাধুলা
বিনোদন
ফিচার
mujib
w
যাবতীয় খবর
জিওগ্রাফিক্যাল
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News
No comments: