Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » বিচারকাজে নতুন গতি এনেছে ভার্চুয়াল পদ্ধতি: প্রধান বিচারপতি




ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচারকাজ পরিচালনায় নতুন গতি এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। মহামারির এই সময়ে অনলাইন পদ্ধতির বিশেষ ব্যবস্থার কোর্টে উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে সাড়ে ৫ হাজার মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এমনকি গত বছরের চেয়ে ৫ হাজার মামলা কম দায়ের হয়েছে বলেও জানান তিনি। বুধবার (৪ নভেম্বর) সকালে পুরাণ সদর ঘাটের জনসন রোডে নবনির্মিত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরেন প্রধান বিচারপতি। ভার্চুয়াল পরিসরের এই আয়োজনে গণভবন থেকে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিচার বিভাগের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারত্ব। জনগণের বিচারপ্রাপ্তির অধিকার একটি সংবিধানসিদ্ধ বিষয় এবং ডিজিটাল কোর্ট বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের সেই অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব।’ তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ও তার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সক্রিয় পরামর্শে, অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন প্রকল্পের (এটুআই) আওতায় জুডিশিয়ারির নানাবিধ তথ্য প্রদান প্রক্রিয়া ও সেবার বিভিন্ন দিক ডিজিটাল করতে ‘মিশন ডিজিটাল কোর্ট-২০২১’ প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ডিজিটাল কোর্ট বাস্তবায়নের জন্য ২০২১ সালে কিছু কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান প্রধান বিচারপতি। তিনি জানান, এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে ডিজিটাল ফাইলিং, মামলার সকল নথি ডিজিটাল আর্কাইভিং এবং সার্ভার স্থাপনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া, ‘অধস্তন আদালতগুলোর জুডিশিয়াল পোর্টাল বা বিচার বিভাগীয় বাতায়ন, বিচারাধীন মামলার হালনাগাদ তথ্যসংবলিত ডিজিটাল ড্যাশবোর্ড এবং কজলিস্ট ডিজিটালাইজেশনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।’ প্রধান বিচারপতি ভবিষ্যতে ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়ে মিশন ডিজিটাল কোর্ট-২০২১ অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন। জানান, আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার আইন পাশ বিচার বিভাগের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। মহামারির সময়ে আদালত পরিচালনার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বিচার বিভাগের প্রধান বলেন, ‘ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালতে শুনানির জন্য আইনজীবীদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, স্মার্ট ফোন ও ল্যাপটপের ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায় সীমিত আকারে হলেও, এই পদ্ধতির কোর্ট বিচারপ্রার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।’ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দুটি বেঞ্চ ও হাইকোর্ট বিভাগের ১৬টি দ্বৈত ও একক বেঞ্চ বিচারকার্য পরিচালনা করছে। সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মামলা, দৈনন্দিন কার্যতালিকা ও ফলাফল তাৎক্ষণিকভাবে জানার জন্য সুপ্রিম কোর্ট অব বাংলাদেশ কজলিস্ট অ্যাপ চালু করা হয়েছে।’ এর ফলে বিচারপ্রার্থীরা সহজেই মামলার সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারছেন। নতুন এই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবনটি অত্যন্ত সুদৃশ্য মন্তব্য করে এর নির্মাণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সাধুবাদ জানান প্রধান বিচারপতি।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply