Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » শ্রম কাউন্সিলরদের অবৈধ উপার্জন থেকে দূরে থাকার আহ্বান




পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোতে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত শ্রম কাউন্সিলরদেরকে সততার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, অবৈধ অর্থ উপার্জনের পিছনে দৌড়ালে অবশেষে বিপদে পড়তে হতে পারে। তিনি বলেন, ‘আজকাল আমরা এই বিষয়গুলোতে (দুর্নীতি) খুব কঠোর। আমি চাই সবাই এ সম্পর্কে (অবৈধ অর্থ) সচেতন হোন।’ বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে ‘কাউন্সিলর/ফার্স্ট সেক্রেটারি (শ্রম)’ নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রশংসাপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ড. মোমেন বলেন, তারা বিদেশ থেকে কিছু খারাপ সংবাদ শুনেছেন যে, কয়েকটি দেশে বাংলাদেশের কিছু শ্রম কাউন্সিলর অবৈধ অর্থ উপার্জনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে তারা (কথিত শ্রম-কাউন্সিলররা) বাংলাদেশকে অপমান করেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অপমান করেছেন এবং আমাদের মিশনকে অপমান করেছেন।’ তিনি নতুন শ্রম কাউন্সিলরদের, বিশেষত যারা লোভনীয় গন্তব্যে যাচ্ছেন তাদের এ থেকে (দুর্নীতি) দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদে আপনারা সমস্যায় পড়তে পারেন।’ ড. মোমেন কাউন্সিলরদের বিশেষত কম ভাগ্যবান প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের অঙ্গীকার, নিষ্ঠা ও ভালবাসা দিয়ে সেবা করার নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ‘আপনারা তাদের (প্রবাসী কর্মীদের) জন্য আশা… আপনি যদি ভাল সেবা দিতে পারেন, তবে তারা আপনাকে স্মরণ করবে… মানুষ আপনাকে সম্মান করবে।’ শ্রম কাউন্সিলরদের কাজকে ‘বিদেশ মিশনে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ’ অভিহিত করে তিনি বিশেষত মহিলাদের, যারা প্রায় দুর্ভোগের শিকার হন তাদের সহায়তার জন্য প্রবাসী শ্রমিকদের উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘বিদেশে আমাদের প্রায় ১.২৩ কোটি (বাংলাদেশী) কর্মী কর্মরত রয়েছেন। এদের অনেকে অত ভাগ্যবান নন, এজন্য আমাদের খুব কঠোর পরিশ্রম করতে হবে যাতে আমরা তাদেরকে মানসম্পন্ন পরিষেবা দিতে পারি।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সমৃদ্ধ দেশ ‘সোনার বাংলা’ গড়তে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে দুটি প্যাকেজ – অর্থনৈতিক কূটনীতি এবং জনসাধারণের কূটনীতির প্রসারে কাজ করছেন। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক কূটনীতি হলো বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রফতানির পরিমাণ বাড়ানো, বৈদেশিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বাংলাদেশ মিশনে মানসম্মত সেবা নিশ্চিতকরণ এবং জ্ঞান-ভিত্তিক প্রযুক্তি হস্তান্তর। আর জনসাধারণের কূটনীতি হলো বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধিতে কাজ করা। ত্রিপোলি, সিঙ্গাপুর, জেদ্দা, দোহা, কায়রা, আবুধাবি, অ্যাথেন্স, মিলান, জেনেভা ও মস্কোর বাংলাদেশ মিশনে নিযুক্ত দশজন শ্রম কাউন্সিলর ও করাচিতে নবনিযুক্ত বাংলাদেশ ডেপুটি-হাইকমিশনার সপ্তাহব্যপী এ কোর্স সম্পন্ন করেন। পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply