প্রকৃতির অনবদ্য আয়োজন ভাসানচরে পর্যটন এলাকা গড়ার পরিকল্পনা প্রকৃতির অনবদ্য আয়োজন ভাসানচরে। যার পাতায়-পাতায় মিশে আছে প্রাণের ছন্দ। আশ্রয়ণ প্রকল্প তৈরির পরও সবুজ এই দ্বীপের সিংহভাগ খালি পড়ে আছে। তাই পশুপাখির অভয়ারণ্যসহ ইকো-টুরিজ্যমের ব্যাপক সম্ভাবনা দেখছেন প্রকল্প সংশিষ্টরা। শিগগিরই পরিদর্শনে যাবে পর্যটন বোর্ডের একটি কমিটি। চট্টগ্রাম থেকে বঙ্গোপসাগরের বুকে রোমাঞ্চকর অভিযাত্রা। প্রকৃতির অনবদ্য আয়োজন উপভোগ করতে-করতে হাতিয়ার দিকে এগিয়ে চলা। আড়াই ঘণ্টার জাহাজ ভ্রমণ শেষে চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক গোধূলীমাখা কাব্য। যার পাতায়-পাতায় মিশে আছে প্রাণ-প্রকৃতির ছন্দ। আর, পুব আকাশে সূর্যের অস্তচলে যখন আঁধার নামতে চায়, তখন ভরা পূর্ণিমার রঙে ভেসে যায় ভাসানচর। ভাসানচর নামের ১৩ হাজার একর আয়তনের বিস্তীর্ণ এই দ্বীপের মাত্র ৪৩২ একর খরচ হয়েছে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পে। বাকি পুরোটাতে ছড়িয়ে আছে প্রকৃতির অলংকার। এখানে সকাল হয় সাদা বকের নিমন্ত্রণে। পাখিদের অবিরাম আলাপন জুড়ে থাকে সারাবেলা। চর শব্দটি শুনলে মানসপটে যে রুক্ষ রুপ ভেসে ওঠে, ভাসানচর তার বিপরীত। পলিমাটিবেষ্টিত এই উর্বর ভূমিকে তাই বনাঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছিলো ২০১৩ সালেই। একদিকে সমূদ্র, অন্যদিকে লাখ-লাখ ম্যানগ্রোভ, আর মাঝখানে লেক। সবমিলিয়ে এখানে জেগেছে ইকো টুরিজ্যমের নতুন সম্ভাবনা। এরইমধ্যে পর্যটন বোর্ডকে সেই প্রস্তাবও দিয়েছে নৌবাহিনী। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সীমিত আয়তনের দেশে বিশাল এই দ্বীপকে কেবল রোহিঙ্গা আশ্রয়ণ প্রকল্পে সীমাবদ্ধ রাখা নয়, বরং এর অর্থনৈতিক সম্ভাবনা কাজে লাগানোর মধ্যেই আছে দেশের কল্যাণ।
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments: