Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটা বস্তুনিষ্ঠ নয় : মেয়র তাপস




বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রোববার সকালে রাজধানীর ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ছবি : সংগৃহীত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন। এ অভিযোগের জবাবে কারো নাম উল্লেখ না করে মেয়র তাপস বলেছেন, ‘কেউ যদি ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে কিছু বলে থাকেন, সেটার জবাব আমি দায়িত্বশীল পদে থেকে দেওয়াটা সমীচীন মনে করি না।’ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ রোববার সকালে রাজধানীর ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তাপস। এ সময় মেয়র তাপস আরো বলেন, ‘যদি কেউ উৎকোচ গ্রহণ করে, ঘুষ গ্রহণ করে, কোনো কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য কমিশন বাণিজ্য করে, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে, ঋণ দেওয়ার জন্য কমিশন বাণিজ্য করে এবং সরকারি প্রভাব কাজে লাগিয়ে কারো কাছ থেকে কোনো কিছু জিম্মি করে অথবা কোনো কিছু দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে কিছু অর্থ নিয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়। এ ছাড়া যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটা কোনোভাবেই কোনো বস্তুনিষ্ঠ বক্তব্য নয়।’ মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার আইন ভঙ্গ করা এবং সিটি করপোরেশনের কর্মীদের বেতন না দিতে পারার অভিযোগও করেছিলেন সাঈদ খোকন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মেয়র তাপস বলেন, ‘এটি তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত। এটি কোনো গুরুত্ব বহন করে না। আর সিটি করপোরেশনের কর্মীদের বেতন দিতে না পারাটা নিছকই একটি ভ্রান্ত কথা। এর বাস্তব কোনো ভিত্তি নেই।’ এর আগে রাজধানীর হাইকোর্ট এলাকায় কদম ফোয়ারার সামনে ডিএসসিসি কর্তৃক বৈধ দোকান অবৈধভাবে উচ্ছেদের প্রতিবাদে গতকাল শনিবার এক মানববন্ধনে সাঈদ খোকন বলেছিলেন, ‘তাপস মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলাবাজি করে চলেছেন। আমি তাঁকে বলব, রাঘব বোয়ালের মুখে চুনোপুটির গল্প মানায় না। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে হলে সর্বপ্রথম নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত করুন, তারপর চুনোপুটির দিকে দৃষ্টি দিন।’ সাবেক এই মেয়র আরো বলেন, ‘তাপস দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শত শত কোটি টাকা তাঁর নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তরিত করেছেন এবং এই শত শত কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লাভ হিসেবে গ্রহণ করেছেন এবং করছেন। অপরদিকে, অর্থের অভাবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গরীব কর্মচারীরা মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছেন না, সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে মেয়র তাপস সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯, ২য় ভাগের ২য় অধ্যায়ের অনুচ্ছেদ ৯ (২) (জ) অনুযায়ী মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।’ সাঈদ খোকন বলেন, ‘সেসব ভাই ও পরিবারদের প্রতি আমি গভীরভাবে সমবেদনা জানাই, যারা বৈধভাবে দোকান বরাদ্দ নিয়েছিল। কিন্তু ডিএসসিসি কর্তৃক অবৈধ উচ্ছেদের কারণে সব হারিয়ে করোনাভাইরাসের এই দুঃসময়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন, পথে বসে গেছেন।’ সাবেক মেয়র আরো বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমি আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক মনোনীত হয়ে ঢাকাবাসীর প্রত্যক্ষ ভোটে ২০১৫ সালের ১৭ মে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করি এবং এর পরবর্তী পাঁচ বছর মেয়াদে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করি। আমার এই পাঁচ বছর মেয়াদের দৃশ্যমান যাবতীয় বাস্তবায়িত কাজ এবং বর্তমানে আমার শুরু করা চলমান উন্নয়নের বিবরণ তুলে না ধরে আজ শুধু একটি দিক তুলে ধরতে চাই, এবং তা হলো—নগরীর ভৌত-অবকাঠামো ও নাগরিকসেবা নিশ্চিতসহ আমার অন্যতম লক্ষ্য ছিল নগরীতে কর্মসংস্থান ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে নগর অর্থনীতিকে গতিশীল রাখার মাধ্যমে নাগরিকদের জীবনমানের সামগ্রিক উন্নয়ন সাধন করা, যা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গিকার। এরই ধারাবাহিকতায় আমি কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করি। ফুলবাড়িয়াসহ গুলিস্তান এলাকার বিভিন্ন দোকানদার ভাইদের বৈধতা দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ দেওয়া ছিল এই লক্ষ্যের অন্যতম একটি পদক্ষেপ।’ দোকানের বৈধতার কথা তুলে ধরে খোকন আরো বলেন, ‘ফুলবাড়িয়া মার্কেটে সিটি করপোরেশন কর্তৃক যে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে, আমি আগেও বলেছি এটা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। কারণ, মহামান্য আদালত কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে ব্যবসায়ীদের বৈধকরণের আবেদন নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আমরা করপোরেশনের বোর্ড সভায় সর্ব-সম্মতিক্রমে আলোচিত মার্কেটগুলোর নকশা সংশোধন, বকেয়া ভাড়া আদায় সাপেক্ষে বৈধ ব্যবসা পরিচালনার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ নকশা সংশোধন করে এবং রাজস্ব বিভাগ সাত থেকে আট বছরের বকেয়া ভাড়া আদায় করে ব্যবসায়ীদের বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার অনুমতি দেয়।’ উচ্ছেদের তীব্র নিন্দা জানিয়ে সাবেক এই মেয়র বলেন, ‘আমরা আশ্চর্যের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম, বিনা নোটিসে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বুলডোজার দিয়ে এসব হাজার হাজার বৈধ দোকান গুড়িয়ে দিল এবং ফলশ্রুতিতে হাজার হাজার দোকান মালিক ও কর্মচারী সপরিবারে পথে বসে গেল।’ সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমি ডিএসসিসির সাবেক মেয়র হিসেবে এই অবৈধ উচ্ছেদের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমি জানি, বর্তমান একগুয়ে নগর প্রশাসন কোনো যৌক্তিক নাগরিক দাবি-দাওয়ার তোয়াক্কা করে না। তাই আমি আল্লাহর পরে আমাদের আশা-ভরসার শেষ স্থান মহান নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই নিঃস্ব ও অসহায় বৈধ ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।’






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply