ক্যাপিটল হিল লকডাউন

ক্যাপিটল হিল লকডাউন নজিরবিহীন নিরাপত্তা চাদরে ঢাকা পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নিরাপত্তা হুমকির জেরে ক্যাপিটল হিলে জারি করা হয়েছে লকডাউন। তবে জো বাইডেনের শপথ গ্রহণের পরও নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করেছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের মহড়া চলাকালীন ঘটনাস্থলের কিছু দূরে ধোঁয়ার কুণ্ডলী ওড়ার খবর জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। বন্ধ করে দেয়া হয় জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসের শপথ গ্রহণের মহড়া। প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠান কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই এ ধরনের ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে জনমনে। মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হুঁশিয়ারি ও নিরাপত্তা হুমকির জেরে পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে লকডাউন জারি করা হয়েছে। তবে জনসাধারণের জন্য আপাতত কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই বলেও দাবি করে কর্তৃপক্ষ। ক্যাপিটল হিলের পাশাপাশি ওয়াশিংটন ডিসি জুড়ে নজিরবিহীন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে কয়েক হাজার ন্যাশনাল গার্ডের সদস্য। শপিং মলের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সম্ভাব্য সহিংসতা এড়াতে ৫০টি অঙ্গরাজ্য ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলোম্বিয়ায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষ সাক্ষী হলেও করোনা মহামারি ও নিরাপত্তা হুমকির জেরে এবার সীমিতভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পরও সম্ভাব্য সহিংসতা ও নিরাপত্তা হুমকি থাকতে পারে বলে আশঙ্কা নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের। নিরাপত্তা বিশ্লেষক জন হিউডাক বলেন, যেকোনো প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল কায়েদা ও আইসিসকে আমরা যেভাবে দেখি ঠিক একইভাবে এখন আমরা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের নিয়ে কথা বলছি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক ও জঙ্গিদের মতাদর্শের সঙ্গে খুব বেশি পার্থক্য নেই কেন না তারাও সরকারের বিভিন্ন প্রশাসন ধ্বংসের পরিকল্পনা করছে। এরমধ্যেই শপথ অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ। সব কিছু ঠিক থাকলে ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা নেবেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস।