ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিনিধি পরিষদের ব্যবস্থা, বিশ্বনেতাদের উদ্বেগ
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গা সৃষ্টিতে উষ্কানি দেয়ার দায়ে নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসনের খবরে তোলপাড় যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন নাগরিকরা শেষ সময়েও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নেয়া এ পদক্ষেপে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। বুধবার অভিশংসনের পর দেশটির রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানান বিশ্ব নেতারাও। নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের জন্য আবারও ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম লেখালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্সির মেয়াদের বাকি যখন আর মাত্র এক সপ্তাহেরও কম সময়, তখনও দ্বিতীয়বারের মতো নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসনের মুখোমুখি হলেন তিনি। গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গায় নিজ সমর্থকদের উষ্কানি দেয়ার অভিযোগে ট্রাম্পের অভিশংসনের প্রস্তাবে ডেমোক্র্যাট ছাড়াও সমর্থন জানান রিপাবলিকানরাও। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এক শাসনামলে প্রেসিডেন্টের দুবার অভিশংসনের মতো এমন নজিরবিহীন ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন নাগরিকরা। তারা বলেন, ‘শুরু থেকেই ট্রাম্প যা করার চেষ্টা করছিলেন, তা কারোর কাছেই গোপন ছিল না। তাহলে কিভাবে এতোদিন দেশ পরিচালনা করলেন? আমাদের জন্য এটি খুবই লজ্জাজনক ঘটনা।’ স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘এই অভিশংসনের এখন আর কোন মূল্য নেই, সেটা সত্য। কিন্তু তারপরও আমি খুশি। দেশে আবারও সুদিন ফিরে আসবে, আমি আশাবাদী।’ ট্রাম্পের অভিশংসনের খবরে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশোহিদে সুগা। বুধবার দেশটির মন্ত্রীপরিষদের সচিব এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানান। তিনি বলেন, ক্যাপিটল হিলের হামলা যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ওপর হামলার সামিল। এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী ইয়োশোহিদে সুগা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দেশটিতে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান আসবে। নতুন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রে শান্তি, গণতন্ত্র আর শৃঙ্খলা ফিরে আসবে, এমন প্রত্যাশাই ব্যক্ত করেছেন তিনি। এদিকে, ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের চরম অপমানজনক বিদায় উদযাপন করছে তার দেশ। বুধবার এক বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। রুহানি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের অপমানজনক বিদায়ই প্রমাণ করছে যে বলপ্রয়োগ, বর্ণবাদ ও আইন লঙ্ঘনের পরিণতি কখনও ভালো হয় না। যে ব্যক্তির রাজনৈতিক জ্ঞানের অভাব রয়েছে তার হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো এবং তার সঙ্গে জুটেছিলো একজন নির্বোধ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর অজ্ঞ ও উগ্র জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। এসময় নতুন প্রেসিডেন্টের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগ মুহূর্তে মার্কিনরা নিজেদের মধ্যে ভয়াবহ রকমের বিভক্ত হয়ে পড়েছেন বলেও মন্তব্য করেন রুহানি।Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments: