সুইসসহ বিদেশি ব্যাংকে দেশের কার কত টাকা’ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট সুইজারল্যান্ডভিত্তিক (সুইস) ব্যাংকসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের ব্যাংকগুলোতে কার কার গোপন একাউন্টে, কত টাকা আছে তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। পাচার হওয়া এসব টাকা ফেরত আনতে সরকারের পদক্ষেপগুলো সম্পর্কেও জানতে চেয়েছেন আদালত। তালিকা দাখিলের পরে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৩০ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত। একইসঙ্গে পাচার হওয়া অর্থ নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে অর্থ পাচারের ঘটনাগুলো তদন্তের জন্য কেন একটি আলাদা তদন্ত টিম গঠনের নির্দেশ দেয়া হবে না এবং বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না কিংবা অর্থ ফেরত আনতে প্রয়োজনে নতুন কোনো আইন করতে বলা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পানামা ও প্যারাডাইস পেপারে যাদের নাম এসেছে তাদের বিষয়ে তদন্ত করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেল, অর্থ সচিব, বাণিজ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক), বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট ১৫ জনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাসের করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্ট বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ রিট আবেদনের পক্ষে আব্দুল কাইয়ুম খান নিজেই শুনানি করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। এর আগে সুইস ব্যাংকে থাকা টাকার বিষয়ে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে গত ১ ফেব্রুয়ারি অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস এ রিট করেন। রিটে মুসা বিন শমসেরসহ অন্যদের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংক, বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিট আবেদনে বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ গোপনে বিদেশের ব্যাংকে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে বিবাদীদের চরম ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। একই সঙ্গে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের অতীত এবং বর্তমানে এ ধরনের অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন পর্যবেক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণে একটি বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। পাশাপাশি পাচারের বিষয়ে তথ্য থাকলে প্রকাশ করে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের প্রতি নোটিশ জারির আবেদনও করা হয় রিট পিটিশনে। ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারির পাশপাশি তালিকা চেয়ে আদেশ দেন আদালত। এছাড়া সুইচ ব্যাংক থেকে টাকা আনার বিষয়ে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইমিগ্রেশন পুলিশ, বিএফআইইউ সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া বিএফআইইউকে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছে। তারা সেটা করছে।
Home
»
English News
»
lid news
»
national
» ‘সুইসসহ বিদেশি ব্যাংকে দেশের কার কত টাকা’ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments: