Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » কনওয়ে-সোধিতে উড়ে গেল অস্ট্রেলিয়া




আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বর্তমানে ক্রিকেটের শর্টার এই ভার্সনের প্রতিই বেশি জোর দিচ্ছে দলগুলো। এরই প্রেক্ষিতে অস্ট্রেলিয়ার নিউজিল্যান্ড সফর শুরু হয়েছে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে। যেখানে আজ প্রথম ম্যাচেই ‘গো-হারা’ হেরেছে সফরকারী দল। আজ (সোমবার) ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ডেভন কনওয়ের অনবদ্য ব্যাটিং আর ইশ সোধির মায়াবী স্পিনে নিউজিল্যান্ডের কাছে উড়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচটিতে কিউইরা জিতেছে ৫৩ রানের বড় ব্যবধানে। যদিও ব্যাটিংয়ের শুরুটা দুই দলেরই ছিল প্রায় একইরকম। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৯ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। রান তাড়ায় নেমে অস্ট্রেলিয়াও ১৯ রানের মধ্যে হারায় ৪ উইকেট। কিন্তু কিউই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা দলের হাল ধরতে পারলেও পারেননি অজিরা। পার্থক্যটা আসলে হয়ে গেছে সেখানেই। শুরুর ধাক্কা সামলে ৫ উইকেটে ১৮৪ রানের পুঁজি দাঁড় করায় নিউজিল্যান্ড। দলকে ধ্বংসস্তুপ থেকে টেনে তোলার নায়ক ডেভন কনওয়ে। মাত্র এক রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান, ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে খেলেন ৯৯ রানের এক অনবদ্য ইনিংস। তাঁর এই ৫৯ বলের ইনিংসে ছিল ১০টি চারের সঙ্গে ৩টি ছয়ের মার। ডেভন উইকেটে আসেন ১১ রানে দলের দ্বিতীয় উইকেট পতনের পর। খানিক পর দলীয় সংগ্রহ ১৯ রানে পৌঁছতে সাজঘরে ফিরে যান অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও। তৃতীয় উইকেটে গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে ৭৪ রান যোগ করেন কনওয়ে। এ জুটিতে ফিলিপসের অবদান ছিল ২০ বলে ৩০ রান। স্টয়নিসের হানায় দলীয় সংগ্রহ একশ হওয়ার আগেই ফিরে যান ফিলিপস। কিন্তু অবিচল থাকেন মাত্র পঞ্চম আন্তর্জাতিক ইনিংসে ব্যাট করতে নামা কনওয়ে। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এ বাঁহাতি নিজের ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন ৩৬ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ের সাহায্যে। এরপর আরও চওড়া হয় তার ব্যাট। তবুও শেষ পর্যন্ত মাত্র ১ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয় তাকে। কিউই ইনিংসে শেষ ওভারের আগে কনওয়ে অপরাজিত ছিলেন ৮৭ রানে। কেন রিচার্ডসনের ওই ওভারে ৪টি বল মোকাবেলা করেন কনওয়ে। যেখানে একটি করে চার-ছয়ের মারে নিতে পারেন ১২ রান। শেষ বলে যখন সেঞ্চুরি থেকে দুই রান দূরে, তখন মাত্র এক রান নিতে সক্ষম হন এই বাঁহাতি। ফলে কনওয়ের ইনিংসটি থামে ঠিক ৯৯ রানে। মাত্র সপ্তম টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমে ক্যারিয়ারের সেরা এই ইনিংস খেলেই ম্যাচ সেরাও হন জোহান্সবার্গে জন্মগ্রহণ করা ২৯ বছর বয়সী কিউই যুবক। আর এতেই অস্ট্রেলিয়ার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৮৫ রান। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ট্রেন্ট বোল্ট আর টিম সাউদির তোপের মুখে ১৯ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে পড়ে অজিরা। যেখান থেকে পরে আর লড়াইয়ে ফিরতে পারেনি ফিঞ্চের দল। বোল্ট-সাউদির যৌথ আক্রমণের পর অজি ইনিংসে ধ্বংসলীলা চালান ইশ সোধি। এর মাঝেও কিছুটা চেষ্টা করে মিচেল মার্শ যখন (৩৩ বলে ৪৫ রান) সাজঘরে ফেরেন, অস্ট্রেলিয়ার রান তখন একশরও নিচে (৯৮/৬)। শেষ পর্যন্ত ১৫ বল বাকি থাকতেই সফরকারীদের ইনিংস থামে ১৩১ রানেই। একাই ৪টি উইকেট শিকার করেন এই লেগস্পিনার, ২৮ রানের বিনিময়ে। তাঁর আগেই অবশ্য দুটি করে উইকেট শিকার করে অজিদের ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিলেন সাউদি-বোল্ট জুটিই।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply