রাতের আঁধারে ইয়াঙ্গুনে প্রবেশ করছে রহস্যজনক বিমান মিয়ানমারে সামরিক শাসন জারির পর থেকে প্রতি রাতে চীনের কুনমিং থেকে দেশটির ইয়াঙ্গুনে প্রবেশ করছে রহস্যজনক বিমান। কী আছে সেই বিমানে? কেনই বা সব রকম ফ্লাইট বন্ধ থাকার পরও রাতের অন্ধকারে সেনাদের সমর্থনে সীমান্ত অতিক্রম করছে বিশেষ সেই উড়োজাহাজ? বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। মিয়ানমারে সেনা শাসনের এক মাস পেরিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, চীনের মদদেই দেশটিতে সেনারা ক্ষমতা ধরে রাখতে সাহস করছে। চালাচ্ছে গণতন্ত্রপন্থিদের ওপর নির্যাতন সঙ্গে উঠেছে রাশিয়ার সংশ্লিষ্টতাও।
এ অবস্থায় অভিযোগ মিলেছে, প্রতি রাতে চীন থেকে অজানা পণ্য ও ব্যক্তিদের নিয়ে মিয়ানমারে অবতরণ করছে অনিবন্ধিত ফ্লাইট। যা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে রহস্য। কারণ একদিকে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ, অন্যদিকে আনরেজিস্ট্রাড ফ্লাইট কী করে দেশটিতে ঢুকছে তা নিয়ে শত প্রশ্ন উঠছে। চীনের দক্ষিণের শহর কুনমিং থেকে মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুনে চলাচল করছে ফ্লাইট। রাত ১২টার পর ফ্লাইটটি রওনা হয় যা দেড়টার দিকে পৌঁছায়। যদিও চীনা সরকার আর মিয়ানমার এয়ারওয়েজ দাবি করেছে, বিমানগুলো সামুদ্রিক খাদ্য বহন করছে। সুতরাং, এটি আমদানি-রফতানির কাজে নিয়োজিত। বেইজিংয়ের এমন দাবি মানতে নারাজ বিশ্লেষকরা। কারণ গত কয়েক দিন ধরেই এমন সন্দেহজনক ঘটনা চলমান। অস্ট্রেলিয়ার একটি গবেষণায় সার্বিক তথ্য উঠে এসেছে। তারা ধারণা করছে, দুটি বিষয় এর মাধ্যমে ঘটতে পারে। প্রথমত, চীনের সেনারা মিয়ানমারে অবস্থান নিচ্ছে। দ্বিতীয়ত, সাইবার বিশেষজ্ঞরা মিয়ানমারে ছড়িয়ে পড়ছে। মিয়ানমার তাদের শত্রুদের ঠেকাতে সাইবার হামলার ছকও কষতে পারে। এর মাধ্যমে এ কথা পরিষ্কার যে, বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও কৌশল নির্ধারণে চীন এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সরকারকে উৎখাত করে। এরপর নবনির্বাচিত সংসদ অধিবেশনের কয়েক ঘণ্টা আগে ঘোষণা করে এক বছরব্যাপী জরুরি অবস্থার।Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments: