Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » বাংলাদেশ-ভারত নির্বিঘ্ন পরিবহন ব্যবস্থায় বাংলাদেশের আয় বাড়বে ১৭ শতাংশ’




বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নির্বিঘ্ন পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থা দুই দেশের জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে এতে বাংলাদেশের জাতীয় আয় বাড়বে ১৭ শতাংশ আর ভারতের বাড়বে ৮ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের করা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিকেলে বিশ্বব্যাংক আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনায় এ কথা জানিয়েছে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাটি। ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল'র মধ্যে করা মোটরযান চুক্তি- এমভিএ'র বিশ্লেষণ করে নির্বিঘ্ন আঞ্চলিক পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধাজনক বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। এই চুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিতে দেশগুলো কি ধরনের নীতি গ্রহণ করবে এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে সেসব বিষয়ও তুলে ধরা হয় আলোচনা সভায়। বিশ্বব্যাংক বলছে, বর্তমানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ মাত্র ১০ শতাংশ ও ভারত ১ শতাংশের কম সুবিধা ভোগ করতে পারছে। যেখানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই হার ৫০ শতাংশ ও সাব-সাহারান অঞ্চলে তা ২২ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতীয় কোন কোম্পানি ব্রাজিল বা জার্মানির সঙ্গে বাণিজ্যে যুক্ত হলে তারা বাংলাদেশের কোন কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ সাশ্রয়ী অবস্থানে থাকে। এর কারণ হিসেবে সংস্থাটি বলছে, উচ্চশুল্ক, শুল্ক জটিলতা ও অশুল্ক বাধাগুলো চিহ্নিত করেছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশে শুল্ক বাধা বেশি, আর ভারতে এই বাধা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গড় শুল্কের চেয়ে দুই থেকে তিন গুণ বেশি। সংস্থাটির আগে করা একটি প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হলে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে ১৮২ শতাংশ আর বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানি বাড়বে ১২৬ শতাংশ। আর এই দুই দেশের মধ্যে নির্বিঘ্ন পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠলে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি আরও ২৯৭ শতাংশ আর বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানি বাড়বে ১৭২ শতাংশ বাড়বে। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সুবিধাজনক অবস্থান তুলে ধরে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি তেমবন বলেন, ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশ খুবই সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। ভারত, নেপাল, ভুটানসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর বাণিজ্য সম্প্রসারণের পথে বাংলাদেশের অবস্থান কৌশলগত গেটের মতো। তারপরও ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য হতাশাজনক। গত এক দশক ধরেই এই বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ছে কিন্তু তাও সম্ভাবনার অন্তত ১০ বিলিয়ন ডলার কম। এই সুযোগ কাজে লাগাতে বাংলাদেশের আঞ্চলিক বাণিজ্যিক শক্তিকে শক্ত অবস্থানে নিতে বিশ্বব্যাংক বিভিন্নভাবে ধাপে ও ভাবে বিনিয়োগ করছে। এর মধ্যে সড়ক ও জলপথের যোগাযোগ বৃদ্ধি, স্থলবন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তিভিত্তিক উন্নয়নকে বিনিয়োগের অগ্রাধিকারে রাখা হয়েছে। দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে বাংলাদেশ-ভারত বর্ডার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি প্রশস্ত দেখায় বলেও মন্তব্য করেছে বিশ্বব্যাংক। পেট্রাপোল-বেনাপোল স্থলবন্দর; দুই দেশের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর হলেও এই বন্দর পার হতে সময় লাগে কয়েকদিন। এছাড়া, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে স্থল যোগাযোগ প্রতিবন্ধকতার কারণে ভারতের মূল-ভূখণ্ড থেকে বেশখানিকটা বিচ্ছিন্ন ভারতের উত্তরপূর্ব অংশে অবস্থিত দেশটির অন্যান্য প্রদেশগুলো। যেমন, আগরতলা থেকে কলকাতা বন্দর পর্যন্ত পণ্য পরিবহনে বর্তমানে শিলিগুঁড়ি হয়ে ১ হাজার ৬শ' কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। অথচ বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে আসার সুযোগ থাকলে এই পথের দৈর্ঘ্য দাঁড়ায় মাত্র সাড়ে ৪শ' কিলোমিটার। বর্ডার বা বন্দর সুবিধা প্রশস্ত হলে আগরতলা থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত পণ্য পৌঁছে দিতে ট্রাকগুলোকে মাত্র ২শ' কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply