Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’, প্রস্তুত তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্র




আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’, প্রস্তুত তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্র আজ শনিবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির পলিসি কমিটি’র সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন,‍ করোনা সংক্রমণের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে মৃত্যু শূন্যের কোটায় রাখতে শতভাগ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার প্রচেষ্টা থাকছে। প্রতিমন্ত্রী আজ শনিবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির পলিসি কমিটি’র সভায় এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় এলাকায় শতভাগ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে হবে। যে করেই হোক, সবাইকে শেল্টার সেন্টারে আনতে হবে, একজনকেও রেখে আসা যাবে না। এবার আমরা টার্গেট রাখব যেন কোনো মৃত্যু না হয়। অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবারের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময়ে পাঁচ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবহার করা হয়েছে। আম্পানের সময়ে করোনার কারণে ১৪ হাজার ৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৪ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি মানুষকে রাখা হয়েছে। ‘কোভিডের কারণে তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবহার করব। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবহার করা হবে। সবার জন্য মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হবে। ফনী, বুলবুল, আম্পান মোকাবিলা করেছি। অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ঝড় মোকাবিলা করা হবে এবং শতভাগ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে এসে মৃত্যুহার শূন্যের কোটায় আনা হবে।’ প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, দুর্গত এলাকার শতভাগ মানুষকে শেল্টার সেন্টারে আনতে পারলে মৃত্যুহার শূন্য হবে আশা করা যায়। যারা বাইরে অবস্থান করে তাদের মধ্য থেকেই মারা যায়। আম্পানে আশ্রয়কেন্দ্রে কেউ মারা যায়নি; যারা মারা গেছে তারা গাছচাপ পড়ে, টিনের আঘাতে। এনামুর রহমান বলেন, ‘কোভিড রোগী থাকলে তাঁকে আইসোলেশনে রাখতে হবে। আক্রান্ত কেউ যেন সুস্থ মানুষের মাঝে না আসতে পারে, সে বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। কোনোভাবেই যেন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নতুন করে সংক্রমণের সৃষ্টি না হয়।’ ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান রোববারের পর সঠিকভাবে বোঝা যাবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) সব সদস্যদের এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে। তারা প্রচার শুরু করেছে। শেল্টার সেন্টারগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছে। কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে প্রচার করছে। ফায়ার সার্ভিসও প্রস্তুত রয়েছে। স্কাউটের ছয় লাখ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে। শুকনা খাবার মজুত রয়েছে। রোববার থেকে বিভিন্ন জেলায় এসব খাবার পাঠিয়ে দেওয়া হবে। দুর্যোগ মোকাবেলায় ‘রুল মডেল’ হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের যে সুনাম রয়েছে তা ধরে রাখায় সংশ্লিষ্টদের সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী। প্রস্তুতিমূলক এ সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. শামসুদ্দীনসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ, রেডক্রিসেন্ট, সিপিপিসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা ও বিভাগের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply