লকডাউন: সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিয়ে নির্দেশনা
করোনার সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউন বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ১০ দিন বাড়ল। গেল ৬ জুন মধ্যরাত থেকে ১৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়ে রোববার (৬ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা আগামী ৬ জুন মধ্যরাত থেকে ১৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।
আরও পড়ুন... লকডাউনের বিধিনিষেধ আরও বাড়লো
প্রজ্ঞাপনে যেসব বিধিনিষেধের কথা বলা হয়েছে সেগুলো হলো-
১. সব পর্যটনস্থল, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
২. জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান- ওয়ালিমা, জন্মদিন , পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে।
৩. খাবারের দোকান ও হোটেল- রেস্তোরাঁসমূহ সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ (টেকঅ্যাওয়ে/অনলাইন) করতে পারবে এবং আসন সংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীতাকে সেবা দিতে পারবে।
৪. কোভিড-১৯ এর উচ্চঝুঁকি সম্পন্ন জেলাসমূহের জেলা প্রশাসকরা সংশ্লিষ্ট কারিগরি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে স্ব-স্ব এলাকার সংক্রমণ প্রতিরোধে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন... বিজ্ঞানীরা বললেন আগামী ১০ বছরই পৃথিবীর মানুষের জন্য শেষ সুযোগ
৫. আন্তঃজেলাসহ সব ধরনের গণপরিবহন আসনসংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে অবশ্যই যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। সেটি শেষ পর্যন্ত ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় ‘কঠোর’ বিধিনিষেধ।
উল্লেখ্য, করোনা নিয়ন্ত্রণ রোধে চলতি বছরের ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। পরে আরও দুদিন বাড়ানো হয় সেই বিধিনিষেধ। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসার পর পরবর্তী দফায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে শুরু হয় ‘সর্বাত্মক লকডাউন’। এরপর কয়েক দফায় তা বাড়িয়ে করা হয় রোববার (৩০ মে) মধ্যরাত পর্যন্ত।
Tag: English News politics
No comments: