Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » কর ব্যবস্থার দুর্বলতাতেই কালো টাকার পাহাড়: অর্থমন্ত্রী




কর ব্যবস্থার দুর্বলতাতেই কালো টাকার পাহাড়: অর্থমন্ত্রী

সরকার অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করতে চায় উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রীর দাবি, কালো টাকা নিয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেননি বাজেট বক্তৃতায়। তবে প্রচলিত কর ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতায় দেশে কালো টাকার পাহাড় তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। কখনো কখনো দেশে ৫০/৬০ শতাংশ কর আরোপ করা হতো ব্যবসায়। এটা অনেক অন্যায় করা হয়েছে, বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। শুক্রবার (৪ জুন) দুপুরে ভার্চুয়ালি আয়োজিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব পর্যালোচনা তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। এ সময়, নতুন বাজেটে করের হারে ছাড় দেয়ায় রাজস্ব আদায় কমে যাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, রাজস্ব আদায়ই সরকারের একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। বরং, করের হার কমিয়ে আওতা বাড়ানোর জন্যই কাজ করছেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী জানান, দীর্ঘদিন ধরেই বাড়তি করের বোঝা চাপিয়ে অন্যায় করা হয়েছে মানুষের সঙ্গে, সৃষ্টি হয়েছে বৈষম্য। এ অবস্থা বদলানোর দিকনির্দেশনা রয়েছে নতুন বাজেটে। দেশের প্রচলিত কর ব্যবস্থায় এক পণ্যে চারবারও কর দিতে হয় মানুষকে। আবার যারা কর দিচ্ছেন, বছরের পর বছর শুধু তারাই দিয়ে যাচ্ছেন, এমন অভিযোগও কম নয়। এসব ক্ষোভ এতোদিন আসলে আসতো শুধু ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ আর সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। এবার খোদ অর্থমন্ত্রীই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কর আদায় কাঠামো নিয়ে, বললেন বহু বছর ধরেই ভুল নীতিতে চলে এসেছে বাংলাদেশ। এ কারণে কর আইন সহজ করে সুষ্ঠু রাজস্ব ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সম্পদ বাড়ানোয় সরকার মনোযোগী বলেও দাবি করেন তিনি। করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাব না দিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সবাইকেই ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে। এ জন্য অর্থেরও ব্যবস্থা করেছি। এক পর্যায়ে তিনি দাবি করেন শুরুর দিকে মাইকিং করেও টিকা দেওয়ার লোক পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে পর্যায়ক্রমে সবাইকেই ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের কথা। এ সময়, বাঁধ তৈরির অনিয়ম ও জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, সাফাই গাইলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলছেন, নদীর বাঁকবদলের কারনে, স্থায়ী বাঁধ দিতে সংকটে পড়তে হয়। কয়রা পাইকগাছা সাতক্ষীরা তালা আশাশুনিসহ দক্ষিণাঞ্চলের জনপদ রক্ষায় টেকসই বাঁধ প্রয়োজন বলে একমত হলেও, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সংকটে জনপ্রতিনিধিদের কোনো দোষ নেই বলেই মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, ১ হাজার জনপ্রতিনিধিও ভাঙন ঠেকাতে পারবে না। এ সময়, ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে রেমিট্যান্সে প্রণোদনা ৩ শতাংশ করার দাবি, বছরের পর বছর ধরে আর্থিক ক্ষতি, গত ১২ বছরে মাত্র ১টি প্রকল্প শেষ করা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে আবারো সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ও করোনাকালে নতুন দারিদ্র্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও, কোন উত্তর দেননি অর্থমন্ত্রী। যদিও, সরকারের একার পক্ষে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব না উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, দায়িত্ব নিতে হবে বেসরকারি খাতকেও। তারা যেন সেটা করতে পারে, সেজন্য প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারের সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রাইভেট সেক্টরকে ড্রাইভিং সিটে বসাতে হবে, তারা এগিয়ে নিয়ে যাবে। তারা যেন সেটা করতে পারে, সেজন্য সরকারকে সহযোগিতা করবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে বিরাট ছাড় দেয়া হয়েছে করপোরেট করে। এছাড়া মেইড ইন বাংলাদেশ এর সম্প্রসারণে ভারী শিল্পেও দেয়া হয়েছে কর অবকাশ সুবিধা। সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী সঙ্গে কৃষিমন্ত্রী ড.আবদুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড.মসিউর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য শামসুল আলম ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম অংশ নেন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply