গাজায় ইসরায়েলি তাণ্ডব, আহত ২৪

গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবারের ওই বিক্ষোভে শত শত ফিলিস্তিনিকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালালে, আহত হন অন্তত ২৩ জন। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, ফিলিস্তিনিদের পাথর হামলার জবাব দিতেই গুলি চালিয়েছে তারা। অন্যদিকে, হামাস বলছে, ১৯৬৯ সালে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদের হামলার দিনটিকে স্মরণে বিক্ষোভ করলে হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনারা। শনিবার গাজার ইসরাইল সীমান্তে জড়ো হয় শত শত ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্বের প্রতিবাদে স্লোগান দেন তারা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সীমান্তের ওপর থেকে রাবার বুলেট ছুড়ে ইসরায়েলি বাহিনী। বিক্ষোভকারীরাও পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে নিরীহ ফিলিস্তিনদের লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা। এতে আহত হন অনেকে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস বলছে, ১৯৬৯ সালে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে ভয়াবহ হামলার বর্ষপূর্তি সাধারণ ফিলিস্তিনরা বিক্ষোভ শুরু করলে কোনও ধরনের উসকানি ছাড়াই গুলি চালায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে বলেও জানানো হয়। এদের মধ্যে ১৩ বছর বয়সী এক শিশুর মাথায় গুলি করা হয় বলেও জানানো হয়। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, কয়েকশ' ফিলিস্তিনি সীমান্তে বিক্ষোভের চেষ্টা করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালানো হয়। ফিলিস্তিনদের হামলায় এক সেনা সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। ২০১৮ সালের শুরু থেকেই ইসরায়েলি দখলদারিত্বের প্রতিবাদে প্রতি সপ্তাহে সীমান্তে বিক্ষোভ করে আসছে সাধারণ ফিলিস্তিনরা। এ বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন সাড়ে তিনশ'র বেশি ফিলিস্তিনি। মাঝে কিছুদিন বিরতির পর আবারও ইসরায়েল সীমান্তে বিক্ষোভ শুরু করল তারা।