Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » দলিত শিশুকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা, উত্তাল দিল্লি




নয় বছরের এক দলিত শিশুকে ধর্ষণ ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ক্ষোভে উত্তাল ভারতের রাজধানী দিল্লি। শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্মশানে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ এনে বুধবার (৪ আগস্ট) দায়ীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে বিক্ষোভ করেন কয়েকশ’ মানুষ। ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন বিরোধী কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। এ ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। গেল রোববার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় দিল্লি ক‌্যান্টনমেন্টের পুরাতন নাঙ্গল এলাকায় দলিত শিশুকে ধর্ষণের পর শ্মশানের চিতায় পোড়ানোর ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে দিল্লিবাসী। বুধবারও কয়েকশ’ বিক্ষোভকারী ওই এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল বের করেন। এ সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান তারা। শিশুটির পবিবারকে হয়রানি করা পুলিশ কর্মকর্তাদের বরখাস্তেরও দাবি জানান বিক্ষুব্ধরা। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নিহত মেয়েটির মা সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা সেদিন গাঁয়ে গিয়েছিলাম- আর আমাদের বাচ্চা শ্মশানঘাটের ওয়াটার কুলার থেকে খাবার জল নিতে গিয়েছিল। শ্মশানের মন্দিরের পুরোহিত আমাদের ফোন করে হঠাৎ খবর দেয়, কুলার থেকে জল নিতে গিয়ে আমাদের মেয়ে নাকি কারেন্ট খেয়ে মারা গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সে রাতেই তাড়াহুড়ো করে ওর সৎকার করে দেওয়া হয়- কিন্তু আমাদের বিশ্বাস পণ্ডিতজি (পুরহিত) আর ওর দলবল আমাদের মেয়েকে জীবন্ত পুড়িয়ে দিয়েছে।’ এদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও বিরোধী কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী শিশুটির বাড়িতে গিয়েছেন। ন্যায় বিচার নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। আর সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বিচারকের নেতৃত্বাধীন তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কেজরিওয়াল। উল্লেখ্য, রোববার সন্ধ্যায় শ্মশান চত্বরে ঠান্ডা পানি আনতে গিয়ে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয় ওই শিশুটি। পরিবারকে না জানিয়েই তড়িঘড়ি করে তার লাশ তোলা হয় চিতায়। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরুর পর দিল্লি পুলিশ অভিযুক্ত রাধেশ্যাম নামে মূল অভিযুক্ত ওই পুরোহিতকে সোমবার রাতেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, সঙ্গে আটক করা হয়েছে লক্ষ্মীনারায়ণ, কুলদীপ ও সালিম নামে তার তিনজন সঙ্গীকেও। তবে তাদের গ্রেপ্তার করলেও ততক্ষণে শিশুটির দেহ প্রায় পুরোই পুড়ে গিয়েছিল। ধর্ষণ ও হত্যার আলামত নষ্ট করতেই অপরাধীরা এ কাজ করেছে বলে অভিযোগ স্বজনদের। এদিকে বিভিন্ন দলিত সংগঠন বলছে, ধর্ষিতা মেয়েটি যেহেতু দলিত বা নিম্নবর্ণীয় সমাজের তাই এই ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধেও তেমন জোরালো প্রতিবাদ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply