ওমান ‘এ’ দলকে প্রস্তুতি ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ দল
। আজ ওমান ক্রিকেট একাডেমি মাঠে আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২০৭ রানের বিশাল পুঁজি দাঁড় করান লিটন দাস-নুরুল হাসানরা। সেই রান তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৪৭ রান করে থেমেছে ওমান ‘এ’ দলের ইনিংস। ৬০ রানের বড় জয়ে ব্যাটিং-বোলিংয়ের প্রস্তুতিটাও ভালোই সেরেছে বাংলাদেশ দল।
অবশ্য এদিন কিছুটা দুশ্চিন্তার জন্ম দিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। পিঠে টান লাগায় প্রস্তুতি ম্যাচটি না খেলে বিশ্রাম নিয়েছেন তিনি। দলের সঙ্গে থাকা নির্বাচক হাবিবুল বাশার জানিয়েছেন, ঝুঁকি না নিতেই মাহমুদউল্লাহকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত অধিনায়কের বদলে প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশকে নেতৃত্ব দেন লিটন দাস।
অধিনায়কত্বের বাড়তি দায়িত্ব লিটনের ব্যাটেও যেন রান এনে দিল। ৩৩ বলে ৫৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন জাতীয় দলের এই ওপেনার। মোহাম্মদ নাঈমকে নিয়ে লিটন প্রথম উইকেট জুটিতে গড়েন ১০২ রানের জুটি। স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার আগে নাঈমও ফিফটি করেছেন। আর তাতে ২০৭ রানের বড় পুঁজি পেয়ে যায় বাংলাদেশ দল।
কাল ইনিংসের শুরু থেকেই ওমান ‘এ’ দলের বোলারদের ওপর চড়াও হন লিটন। ভালো উইকেটে শট খেলার স্বাধীনতা পেয়ে নিজের দক্ষতা দেখাতে কোনো কার্পণ্য দেখাননি। ৩২তম বলে চার মেরে পঞ্চাশ পেরিয়েছেন। পরের বলেই দুর্দান্ত এক ক্যাচে হয়েছেন আউট। তবে আউট হওয়ার আগেই ৬টি চার ও একটি ছক্কায় ৫৩ রান হয়ে গেছে তাঁর। তিনে নামা সৌম্য সরকারের সুযোগ ছিল দ্রুত কিছু রান যোগ করার। কিন্তু সে চেষ্টায় ৮ বলে ৮ রান করে আউট হন এই বাঁহাতি।
বিজ্ঞাপন
এরপর বড় ভুলটা করেন মুশফিকুর রহিম। সৌম্যর বিদায়ের পর ক্রিজে সময় কাটিয়ে দ্রুত কিছু রান যোগ করার সুযোগ ছিল তাঁর। কিন্তু সেটি না করে প্রথম বলেই স্কুপ শট খেলার চেষ্টায় উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তোলেন তিনি। একই ওভারে আফিফ হোসেনও আউট হন। ক্রিজে এসেই প্রথম বলে ছক্কা মারেন তিনি। পরের বলেও একই চেষ্টা করতে গিয়ে বাউন্ডারির সীমানায় ক্যাচ তোলেন আফিফ। ৮ রানের মাথায় বাংলাদেশ দল হারায় তিন উইকেট।
এ সময়টায় ভরসা হয়ে ক্রিজে টিকে থাকেন ওপেনার নাঈম। উইকেট পড়ায় রানের গতি কমলেও এক প্রান্ত ধরে ছিলেন এই বাঁহাতি। নুরুল হাসান এসে চার-ছক্কা মারা শুরু করলে স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার সুযোগ মেলে নাঈমের। ৫৩ বলে ৬৩ রান করতে ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
ততক্ষণে বাংলাদেশ দলের রান দেড় শ ছাড়িয়ে গেছে। এরপর শামীম হোসেনকে নিয়ে শেষ ৫ ওভারে ৮১ রান যোগ করেন নুরুল। নুরুল ১৫ বলে ৭টি ছক্কায় ৪৯ রান করে মাঠ ছাড়েন। শামীমের ব্যাট থেকে আসে ১০ বলে ১৯ রান। দুজন মিলেই দলকে নিয়ে যান ৪ উইকেটে ২০৭ রানের স্কোরে।
বিশাল রানের চাপ ওমান ‘এ’ দলের জন্য কঠিনই হওয়ার কথা ছিল। হয়েছেও তাই। বাংলাদেশি বোলিংয়ের সামনে স্বাগতিকদের ইনিংস বেশি দূর এগোয়নি। সাইফউদ্দিন ২টি, মেহেদী ও নাসুম ১টি করে উইকেট নিয়েছেন। ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন শরীফুল।
Tag: English News lid news national
No comments: