আজ ভাগ্য নির্ধারণ হচ্ছে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার। স্থানীয় সময় রোববার (৩১ অক্টোবর) দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ৪৬৫ আসনে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কিশিদার ভাগ্য নির্ধারণ আজ
কিশিদার রক্ষণশীল সরকার জনগণের অনুমোদন পায় কি-না, তা জানতে ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবে তার দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি।
জনপ্রিয়তা হ্রাস পেলেও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী দলটি। সকাল ৭টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ রাত ৮টা পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে।
মহামারি চলাকালীন এই নির্বাচনে মানা হচ্ছে করোনার সব বিধিনিষেধ। এছাড়া কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যম কিয়োডো নিউজ এজেন্সির দেশজুড়ে চালানো এক জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ ভোটার এখনো তাদের দল নির্বাচনে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। এই বিপুল পরিমাণ ভোটারকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি।
চলতি মাসের শুরুর দিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণের পরপরই এই নির্বাচনের ডাক দেন কিশিদা। চলমান ভোট তার ও ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির জন্য একটি পরীক্ষা।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য দলটির জনপ্রিয়তা হৃাস পেয়েছে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আর এই নির্বাচনে এলডিপির আসন কমে গেলে দলটির মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরুর আশঙ্কাও দেখছেন অনেকে।
এর আগে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ইউ উচিয়ামা বলেন, আসন্ন নির্বাচনে কিশিদাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে–কীভাবে তিনি ভোটারদের কাছে পৌঁছাবেন। তবে পররাষ্ট্রনীতির দিক থেকে তিনি দুই পূর্বসূরির নেওয়া পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, তাকে জাপান-মার্কিন জোট এবং অবাধ ও উন্মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর জোর দিতে হবে। এছাড়া চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় কোয়াডের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করায় মনোযোগ দিতে হবে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক র্যান্ড কর্পোরেশনের জাপানিজ নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞ জেফ্রি হরনুং বলেন, নিরাপত্তা ও কূটনীতির জায়গা থেকে আমার মনে হচ্ছে, জাপানের অনেক পরিবর্তন দেখতে যাচ্ছি।
নির্বাচনী প্রচারের সময় কিশিধা বলেছিলেন, চীনকে মোকাবিলায় সবচেয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বেইজিংয়ের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক আগ্রাসন নিয়ে তার ভেতরে গভীর খেদ কাজ করছে।
No comments: