জি-২০ সম্মেলনে শীর্ষ আলোচনায় যেসব বিষয়
ইতালির রোমে শুরু হয়েছে সমৃদ্ধশালী অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০’র শীর্ষ সম্মেলন। শনিবার (৩০ অক্টোবর) থেকে শুরু হওয়া দুই দিনের এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ জোটভুক্ত দেশগুলোর নেতারা। যদিও এই সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রুশ প্রেসিডেন্ট স্বশরীরে উপস্থিত না থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছেন।
করোনা মহামারির মধ্যে এই প্রথম বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির নেতারা ইতালিতে মিলিত হয়েছেন। এই বিশ্ব দুর্যোগে তাই জলবায়ু পরিবর্তন এবং কোভিড আলোচনাই শীর্ষে রয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।
সম্মেলনে বলা হয়, কার্বন নির্গমন কমাতে জরুরি পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ভবিষ্যতের জন্য ক্রমবর্ধমান ভয়ানক সতর্ক রয়েছে পরিবেশে। ১৯টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই গোষ্ঠীটি বিশ্বের নির্গমনের ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
দুই দিনের শীর্ষ সম্মেলনের আগে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পরামর্শ দিয়েছিলেন, কাজ করতে ব্যর্থ হলে ‘আমাদের সভ্যতা’ পিছিয়ে যাবে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এমন একটি জীবন দিতে হবে, যা আমাদের নিজেদের চেয়ে অনেক কম ব্যবহার্য।
রয়টার্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, একটি খসড়া বিবৃতিতে জি-২০ থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি এক দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত করার জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতির রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। তবে আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক কোনো চুক্তি করা হবে না।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খসড়াটি অবৈধ লগিং, খনি ও বন্যপ্রাণীর ব্যবসা বন্ধে ‘কংক্রিট ব্যবস্থা’ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পর্তুগালে অনন্য কৃতিত্ব গড়লেন বাংলাদেশের কাজল
বরিস জনসন শীর্ষ সম্মেলনের সময় করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের বৈষম্যকেও স্পর্শ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তার সহকর্মী নেতাদের তিনি বলেছেন, পুনরুদ্ধারের গতি নির্ভর করবে আমরা কত দ্রুত কোভিডকে কাটিয়ে উঠতে পারি, যার প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে ‘টিকাগুলোর দ্রুত, ন্যায়সঙ্গত এবং বিশ্বব্যাপী বিতরণ করা।
যদিও শনিবার প্রথমদিন ইতালির নতুন প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি বলেন, ভ্যাকসিনের বৈষম্যের বিষয়টিকে তিনি ‘নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছেন। আগামী বছরের মাঝামাঝি বিশ্বের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ টিকা দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করতে সহযোগী নেতাদের তিনি আহ্বান জানান।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রকেটিং দামের মধ্যে, সেইসঙ্গে ভবিষ্যৎ মহামারি প্রতিরোধের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করার সঙ্গে সঙ্গে জ্বালানি শক্তি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য দেশগুলোকে চাপ দেবেন। ইরানের পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে আলোচনার জন্য বরিস জনসন, ফ্রান্সের মান্যুয়েল ম্যাক্রো এবং জার্মানির বিদায়ী চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের সঙ্গেও তার বৈঠক করার কথা রয়েছে।
গ্রুপটি বিশ্বব্যাপী সর্বনিম্ন কর্পোরেট ট্যাক্স হার ১৫ শতাংশের অনুমোদন দিবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা বিশ্বের ১৪০টি দেশ দ্বারা সমর্থিত। খসড়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটি ২০২৩ সালের প্রথম দিকেই কার্যকর হবে।
Tag: English News Featured world
No comments: