‘মন্ত্রী হিসেবে এটা আমাকে স্বীকার করতেই হবে’
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার: ফাইল ছবি
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের কোনো অভাব নেই, তবে কিছুটা তথ্যবিভ্রাট আছে। মন্ত্রী হিসেবে এটা আমাকে স্বীকার করতেই হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ‘খাদ্য উৎপাদন, আমদানি ও বাজার পরিস্থিতি: প্রেক্ষিত খাদ্য অধিকার’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এ কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, নওগাঁ নয়, দিনাজপুর ও বগুড়ায় সবচেয়ে বেশি চালকল রয়েছে। আর আমি কৃষক। আমার পরিবারের সবাই কৃষক। সাংবাদিকেরা আমাকে প্রায়ই প্রশ্ন করেন, চালের দাম বাড়ল কেন। তাদের বলতে চাই, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে চাল আমদানিতে শুল্ক ছিল না। ফলে চালের দাম কম ছিল। ২০১৯ সালে দায়িত্ব পাওয়ার পর চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে ৬২ শতাংশ শুল্ক আরোপ করি।
তিনি বলেন, ২০২০ সালে লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশ সংগ্রহ হয়নি। আমনের ১২ শতাংশ মাত্র সংগ্রহ করতে পেরেছি। পরে সরকারিভাবে ১১ লাখ টন আমদানি চুক্তি করেছি। এবার ১৭ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছি। আমাদের ২০ হাজার চালকলের মধ্যে ৭০০ থেকে ৮০০ চালকল সারা বছর চালু থাকে। বাকি চালকলগুলো রুগ্ন। যেসব চালকল সব সময় চালান তাদের তদারকি করছি। শর্ষের মধ্যে অনেক ভূত রয়েছে। পাইকারেরা চালান পরিবর্তন করে চালের দাম বাড়িয়ে দেন।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেশ ব্যবসায়ীদের সততার অভাব রয়েছে। মানবতার চেয়ে লাভের প্রতি তাদের বেশি লোভ। বাজার তদারকি করতে হলে মূল্য কমিশন করতে হবে। তাদের মধ্যে চালের বাজারদর নির্ধারণ করা উচিত। মাঠপর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের আরও সক্রিয় হতে হবে। সততা ও নিষ্ঠার মধ্যে থেকে নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত রেখে আমি কাজ করছি। আমাদের চেষ্টার ত্রুটি নেই। কৃষি মন্ত্রণালয় তাদের বিষয়গুলো দেখবে, আশা করি।
ভার্চ্যুয়াল এই ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন।
ওয়েবিনারে সভাপতির বক্তব্যে কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, বাংলাদেশে শুধু খাদ্য নয়, সব বিষয়েই তথ্য নিয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তি রয়েছে, সেটি দূর করার উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে। মূল্য কমিশন গঠিত হলেও তাদের সুপারিশ যথাযথভাবে হবে, সে নিশ্চয়তা দিতে হবে।
Tag: English News politics
No comments: