মুহিবুল্লাহ হত্যা: রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আরও ৫ জন গ্রেফতার
রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে আরও পাঁচজনকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
শনিবার ভোরে উখিয়ার কয়েকটি ক্যাম্প থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকরা রোহিঙ্গাদের কথিত সশস্ত্র সংগঠন আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্য বলে দাবি করেছে পুলিশ।
আটক ব্যক্তিরা হলো—কুতুপালং ক্যাম্পের ব্লক-জি/১৪-এর সাব-মাঝি মো. খালেদ হোসেন (৩৩), ক্যাম্প-১/ইস্টের মাস্টার সৈয়দ আমিন (৩৮), ক্যাম্প-১/ইস্টের ব্লক-জি/১১-এর মো. শাকের (৩৫), ক্যাম্প-১/ইস্টের ব্লক-বি/৩-এর মোহাম্মদ কলিম (১৮) এবং ক্যাম্প-১/ইস্টের ব্লক-ডি/৫-এর মো. ইলিয়াস (২২)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১৪-এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাঈমুল হক। তিনি বলেন, আটক ব্যক্তিরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় আরসা সংগঠনের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি, অপহরণ, পুলিশের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়িত। আটকের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তাদের উখিয়া থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তার করা হয়েছে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে রোহিঙ্গাদের শীষ নেতা মুহিবুল্লাহ খুনের ঘটনায় তার ভাইসহ সাধারণ রোহিঙ্গারা আরসাকে দায়ী করছে। তাদের দাবি, প্রত্যাবাসন ঠেকানোর জন্য মিয়ানমারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ক্যাম্পে নানা ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে।
গত ৬ অক্টোবর এ ঘটনায় গ্রেফতার আরও তিন আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ।
আসামিরা হলো— উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের বাসিন্দা জিয়াউর রহমান, আব্দুস সালাম ও মো. ইলিয়াস।
গত ৩ অক্টোবর এ হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার দুই সন্দেহভাজন আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তারা হলেন— মোহাম্মদ সলিম উল্লাহ প্রকাশ, লম্বা সেলিম (৩৩) এবং শওকত উল্লাহ (২৩)। তারা দুজনই রোহিঙ্গা।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ সংগঠনের কার্যালয়ে অবস্থানকালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ। এ ঘটনায় ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়া থানায় ৩০২/৩৪ ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়। যার বাদী নিহত মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিব উল্লাহ
Tag: English News lid news politics
No comments: