ট্রুডোর মন্ত্রিসভায় রদবদল

২০১৫ সালে প্রথম সরকার গঠনের পর তৃতীয়বারের মতো মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। করোনাভাইরাস মহামারি ও পরিবেশগত বিপর্যয় ঠেকাতে ও প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রতিরক্ষা ও পরিবেশ পরিবেশমন্ত্রীর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার ট্রুডোসহ ৩৮ জন মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। গত মাসে ট্রুডোর লিবারেল পার্টি হাউস অফ কমন্সে ৩৩৮টি আসনের মধ্যে ১৫৯টি আসন জেতে। নিয়ম অনুযায়ী, তাদের আইন পাস করার জন্য অন্য দলের সমর্থন প্রয়োজন। দেশটির নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) এবং ব্লক কুইবেকয়েস, যারা শুধু ফরাসিভাষী প্রদেশ কুইবেকের প্রার্থীদের পরিচালনা করে, তারা ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টির জন্য সম্ভাব্য আইনি অংশীদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তনের আনা হয়েছে। ৩৮ জন মন্ত্রীর মধ্যে মাত্র দশজনেরও কম মন্ত্রী আগের মন্ত্রণালয়ে বহাল রয়েছেন। বদলের অংশ হিসেবে প্রতিরক্ষা, স্বাস্থ্য, পররাষ্ট্র ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে নতুন মন্ত্রীদের নিয়োগ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মধ্যে জলবায়ু আন্দোলন থেকে রাজনীতিতে আসা স্টিভেন গিলবেল্টকে জলবায়ুমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কপ-২৬ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে কানাডার প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি। আরও পড়ুন: ‘শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ’ জান্তার সমালোচনায় আসিয়ান-যুক্তরাষ্ট্র নতুন জাতীয় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন অনিতা আনন্দ। এই পদে দায়িত্ব পালন করা দ্বিতীয় নারী তিনি। সাবেক এই একাডেমিক মহামারির সময়ে কানাডার টিকা কেনার নেতৃত্ব দেওয়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। এ ছাড়া ২০১৫ সালে প্রথম সরকার গঠনের পর পঞ্চমবারের মতো পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদলেছে কানাডার লিবারেল সরকার। নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন মেলানি জোলি। আগের অবস্থান ধরে রাখা মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন ক্রিস্টিনা ফ্রিল্যান্ড। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন তিনি। উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর ফেডারেল পার্লামেন্ট নির্বাচনের পর তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করল ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টি।