Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » ফের কেউ বিপথে গেলে নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকবে না’--- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।




‘ফের কেউ বিপথে গেলে নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকবে না’ যারা দুষ্কর্মের চিন্তা করছেন, তারা তা ভুলে যান। যদি কেউ আবারও বিপথে যান, তাহলে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকবে না। আমাদের বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, কোস্টগার্ড এখন খুবই চৌকস। যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তারা এখন সক্ষম। দস্যু থেকে আত্মসমর্থনকারীদের উদ্দেশ্যে সোমবার (১ নভেম্বর) এই সতর্কবার্তা দেন

দস্যুমুক্ত সুন্দরবন দিবসের তৃতীয় বর্ষপূর্তি আজ। এ উপলক্ষে আয়োজিত আত্মসমর্পণকৃতদের পুনর্বাসন অনুষ্ঠান-২০২১ এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমি বাগেরহাটে এসেই শুনেছি, বিশ্বাস করিনি। শুনেছি কেউ কেউ আবার বিপথে যাবার চেষ্টা করছেন। কষ্ট করছেন জানি। কিন্তু ভুলেও সে চেষ্টা পুনরায় করবেন না। সুন্দরবন দিবসের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুদের মাঝে ১০২টি ঘর, ৯০টি মুদি দোকান (মালামালসহ), ১২টি জাল ও মাছ ধরার নৌকা, ৮টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা এবং ২২৮টি গবাদিপশু (বাছুরসহ) উপহার দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব সময় খোঁজ খবর রাখছেন যারা আত্মসমর্পণ করেছেন তারা এখন কেমন আছেন। তাদের পুনর্বাসন করা হয়েছে কিনা তাও জানতে চেয়েছেন। আপনাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুদের মামলার বিচারের বিষয়ে তিনি বলেন, ধর্ষণ ও খুন ছাড়া সব মামলা পর্যায়ক্রমে তুলে নেওয়া হবে। মামলার কাগজ নিয়ে আসেন। সরকারি অনুদান যাতে মামলা লড়তে না খরচ হয় সেটা আমরা দেখবো। মামলা তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা আমরা করবো। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেই প্রতিশ্রুতি করেছি। মন্ত্রী বলেন, পটুয়াখালী থেকে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট এলাকায় জলদস্যুর কারণে বাসায় থাকায় যেতো না, আটকে রাখা হতো, মুক্তিপণ দাবি করা হতো, ডাকাতি করা হতো। মধু সংগ্রহকারীরাও রেহাই পেতো না। আজ সে চিত্র বদলেছে। সব কিছুর সমাধান হয়েছে। সুন্দরবন আজ দস্যুমুক্ত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য র‌্যাবের স্থায়ী ক্যাম্প করার জোর প্রচেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, এখানেই শুধু নয়, পাবনায় ৬০১ জন চরমপন্থী আত্মসমর্পণ করেছে, কক্সবাজারে ১০১ জন মাদক ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করেছে। এর সবই হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বদান্যতায়। প্রধানমন্ত্রী শুধু আজ আমাদের নেতা নন, আজ তিনি বিশ্বনেতা। তিনি বঙ্গবন্ধুর সকল স্বপ্নকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু সেখানেও ষড়যন্ত্র চলছে। যারা মনে করেন, অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে বা নানান ধরণের বিশেষ অবস্থা সৃষ্টি করে অরাজকতার দিকে নিয়ে যাবেন, সফল হবেন, সে আশায় গুড়োবালি। সেটা কোনোভাবেই হতে দেওয়া হবে না। জঙ্গি-সন্ত্রাসের ন্যায়, মাদকের ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা আত্মসমর্পণ করেছেন তাদের নিশ্চিত জীবিকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা আমাদের দায়িত্বটা সঠিকভাবে পালন করতে চাই। আমি বিশ্বাস করতে চাই, আপনারা আর ভিন্ন চিন্তা করবেন না। ভাববেন না, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুর্বল তারা কিছু জানবে না। আমি বিশ্বাস করি এই এলাকার সবাই মিলেমিশে থাকবেন, বিপদে পাশে থাকবেন। এই দেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, র‌্যাব ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ। এছাড়াও খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শামসুল হক টুকু, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply