বিশ্বে করোনা আক্রান্ত বাড়লেও কমেছে মৃত্যু
মহামারি করোনার ধাক্কা সামলাতে টিকা চলে এলেও বিশ্বের প্রায় সব দেশেই কমবেশি মৃত্যু হচ্ছে। করোনার নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের কাছে বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো এখনো বিপর্যস্ত। পৃথিবীজুড়ে টিকা কার্যক্রম চললেও সংক্রমণ ও মৃত্যু থামছেই না।
বিশ্বব্যাপী করোনার পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মৃত্যু কিছুটা কমেছে তবে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। এ সময় মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৪১৩ জনের, শনাক্ত হয়েছে ৫ লাখ ৯ হাজার ৭০১ জন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) মৃত্যু হয়েছিল ৭ হাজার ৬৪১ জনের, শনাক্ত হয়৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৪২ জন।
এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ কোটি ৯৩ লাখ ২৭ হাজার ৪১০ জন ও মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬৯ জনে। আর সুস্থ হয়েছেন ২২ কোটি ৫৮ লাখ ২২ হাজার ৪৪৪ জন।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছে ৪ কোটি ৭১ লাখ ৮৭ হাজার ২৫৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭ লাখ ৭২ হাজার ৩১৫ জনের।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে ৫ লাখ মানুষের মৃত্যু দেখতে পারে বিশ্ব
আক্রান্তে দ্বিতীয় এবং মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৩২ হাজার ৪০৭ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৫ জনের।
আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত হয়েছেন ২ কোটি ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ১৩৭ জন এবং এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮ হাজার ৭১৫ জনের।
আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৯২ লাখ ৮ হাজার ২১৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ ৪১ হাজার ৩৯৫ জন।
পঞ্চম স্থানে থাকা রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬০ জন। মারা গেছেন ২ লাখ ৪৩ হাজার ২৫৫ জন।
আক্রান্তের তালিকায় তুরস্ক ষষ্ঠ, ফ্রান্স সপ্তম, ইরান অষ্টম, আর্জেন্টিনা নবম এবং স্পেন দশম অবস্থানে রয়েছে। এ তালিকায় বাংলাদেশে অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৩০তম।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।
No comments: