Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » তরুণকে রাস্তায় ফেলে বুকে পা তুলে দিলেন গ্রিন পুলিশ!ভারতের রবীন্দ্র সদনের এক্সাইড মোড়ে




তরুণকে রাস্তায় ফেলে বুকে পা তুলে দিলেন গ্রিন পুলিশ! রোগা চেহারার বছর কুড়ির যুবক ফুটপাথে পড়ে যায়। তার বুকের ওপরে বুট পরা পা দিয়ে চাপা দিয়ে ধরেছেন আর এক যুবক। পরনে সবুজ রঙের পোশাক। তিনি সিভিক ভলান্টিয়ার, অর্থাৎ ‘গ্রিন পুলিশ’। মাটিতে পড়ে থাকা যুবক নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছেন বারবার। আর মাটিতে শুইয়ে রাখতে বারবার বুকে-পিঠে লাথি মারছেন গ্রিন পুলিশ। বুট পায়ে চেপে ধরছেন ওই যুবককে। রোববার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায়

এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল মহানগর। এই দৃশ্য ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন অনেকে। যার ফলে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। কলকাতা পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র রাতে বলেন, ‘আমি ঘটনাটি দেখে বিব্রত। ঘটনার জন্য দুঃখিত। রাতেই ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই সময়ে ওখানে ডিউটিতে থাকা ট্রাফিকের সব অফিসারদের সোমবার সকালে আমার অফিসে ডেকে পাঠিয়েছি। তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কী করে এই অমানবিক ঘটনা ঘটল, তা জানতে চাওয়া হবে। অফিসারদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য তদন্ত হবে।’ তার আগে এদিন এক্সাইড মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, তখনও ডিউটি করছেন তন্ময় বিশ্বাস নামে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। রয়েছেন সাউথ ট্র্যাফিক গার্ডের কর্মীরাও। তন্ময় নিজে ঘটনার কথা স্বীকারও করে নেন। তিনি এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্য পুলিশ কর্মীরা জানান, এ দিন সন্ধ্যায় এক্সাইড মোড় থেকে হাওড়াগামী একটি চলন্ত বাস থেকে মহিলার ব্যাগ ছিনতাই করেছিলেন ওই যুবক। বাস থেকে নেমে পালাতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়ে মার খাচ্ছিলেন তিনি। তন্ময় প্রথমে তাকে উন্মত্ত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করেন। তখন ওই যুবক পালানোর চেষ্টা করতেই তাকে আটকানোর চেষ্টা করেন তন্ময়। সেই কারণেই ফুটপাথে ফেলে পা দিয়ে চেপে ধরেছিলেন। আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টির আনন্দে মামলা খেলেন স্ত্রী-শ্বশুর-শাশুড়ি প্রশ্ন উঠেছে, যে অপরাধই ওই যুবক করুন না কেন, ধরা পড়ার পরে এমন অমানবিকভাবে পা দিয়ে চেপে ধরে মারধর করতে হবে কেন। কেন তাকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হলো না? তন্ময়ের যুক্তি, ‘সেই সময় ওই যুববকে সামলানো যাচ্ছিল না। নেশাগ্রস্ত ওই যুবকের গায়ে ভীষণ শক্তি। তাই বাধ্য হয়েই তার বুকে পা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল।’ প্রসঙ্গত, এই কথোপকথনের সময় ফুটপাতে জবুথবু অবস্থায় বসে ছিলেন ওই যুবক। মুখ দিয়ে অস্ফুট কিছু শব্দ করছিলেন। কোনও কথাই স্পষ্ট ভাবে বলতে পারছিলেন না তিনি। এমনকি নিজের নামও নয়। তাকে ঘিরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সাউথ ট্রাফিক গার্ডের কয়েক জন পুলিশ কর্মী ও তন্ময়। কুঁকড়ে থাকা ওই যুবককে দেখে মনে হয়নি, তিনি বেশ শক্তিধর।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply