অনলাইনে অর্ডার দিয়েও খাবার পেলেন না, মোদী-মমতাকে খোলা চিঠি ক্ষুব্ধ প্রসেনজিতের
কেউ অনলাইনে ডিনার অর্ডার করে শেষ পর্যন্ত যদি তা না পান, তিনি কি খিদে সহ্য করেই বসে থাকবেন?
নিজস্ব প্রতিবেদন: অর্ডার দিয়েও খাবার পেলেন না প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। একটি অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থার ব্যবহারে তাই যথেষ্ট বিরক্ত হলেন অভিনেতা। তিনি তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করলেন। সেই পোস্টের মাধ্যমে তাঁর ক্ষোভ ব্যক্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করেও।
প্রসেনজিৎ পোস্টটিতে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে 'অ্যাড্রেস' করে আসলে একটি খোলা চিঠিই লিখেছেন। সেই চিঠির মাথায় তিনি প্রথমে চলতি উৎসবের মরসুমের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁদের। তার পর প্রসেনজিৎ উক্ত অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থা তাঁর সঙ্গে যে ব্যবহার করেছে তা জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, ৩ নভেম্বর তিনি ওই সংস্থায় খাবারের অর্ডার দিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পরেই তিনি খেয়াল করেন তাঁর অর্ডারটি 'ডেলিভার্ড' দেখাচ্ছে! অথচ খাবার তখনও তাঁর কাছে এসে পৌঁছয়নি। তিনি সঙ্গে সঙ্গে সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানান। প্রসেনজিৎ প্রিপেড অর্ডার দিয়েছিলেন। তাঁর সমস্যা শুনে সংস্থাটি তাঁর টাকা রিফান্ড করে দেয়।
এ পর্যন্ত বলে প্রসেনজিৎ লেখেন, তাঁর সঙ্গে যা হল অন্য কারও সঙ্গেও তা ঘটতে পারে। এবার তিনি পর পর প্রশ্ন তোলেন-- অতিথিদের জন্য খাবার অর্ডার করে যদি কেউ একটি অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থার উপর নির্ভর করে নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকেন এবং শেষ পর্যন্ত খাবার না পান, কেমন দাঁড়ায় বিষয়টা? কেউ যদি কোনওদিন অনলাইনে ডিনার অর্ডার করে শেষ পর্যন্ত তা না পান, কেমন হয় তা হলে? তাঁরা কি খিদে সহ্য করেই বসে থাকবেন? এই ধরনের নানা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে, যা মোটেই বাঞ্ছনীয় নয়। তাই প্রসেনজিৎ মনে করেছেন, বিষয়টি সকলকে জানানো জরুরি। তাই তিনি টুইট করে তা জানিয়েছেন।
তাঁর করা ওই টুইটের প্রসঙ্গে পরে প্রসেনজিৎকে প্রশ্ন করা হলে তিনি তাঁর মনোভাব বিশদে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, তাঁর আসলে কারও উপর কোনও ক্ষোভ নেই। ঘটনার পরেও উক্ত অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থা থেকেই খাবার আনিয়েছেন তিনি। ব্যক্তিগত ভাবে তিনি কলকাতায় খাবার ও ওষুধের অনলাইন সংস্থাগুলি কাজ শুরু করার সময় থেকেই বিষয়টিকে সাগ্রহে গ্রহণ করেছেন। এবং ব্যাপারটিকে খুবই প্রশংসনীয় দৃষ্টিতে দেখে থাকেন। তবে তিনি বলতে চান, যখন কেউ অনলাইনে ওষুধ বা খাবারের অর্ডার দেন, তখন সেটা খুব জরুরি ভিত্তিতেই দেন। অর্থাৎ, তাঁর হাতে বিকল্প থাকে না বলেই দেন। জামা-কাপড়ের ডেলিভারি নির্ধারিত সময়ের পরে এলেও হয়তো তত ক্ষতি নেই। কিন্তু খাবার বা ওষুধের বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর এবং তা সময়মতো না এলে খুবই অসুবিধা পড়েন মানুষ। ফলে তিনি মনে করেন, যাঁরা এই কাজটি করছেন তাঁরা যেন একটু দায়িত্বশীলতার সঙ্গে করেন
No comments: