Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » আবারো পপি চাষে মত্ত আফগান কৃষকরা




আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশে আবারো আফিমের উৎস পপি চাষ শুরু করেছেন সেখানকার কৃষকরা। তালেবান ক্ষমতা দখলের পর দেশটিতে আফিম চাষ শূন্যে নামিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু বর্তমানে দেশটিতে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে জীবিকার তাগিদে পপি চাষ করছেন কৃষকরা। এতে এখন পর্যন্ত কোনো বাধা আসেনি তালেবান সরকারের পক্ষ থেকে। আফগান জনগোষ্ঠীর আয়ের বড় উৎস হলো আফিম। গেল ১৫ আগস্ট তালেবানের কাবুল দখলের পর আফিম চাষ বন্ধ হয়ে যাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল সবার মনে। কাবুল দখলের ঠিক তিন দিনের মাথায় মাদকমুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকার করেছিল তালেবান। তবে সম্প্রতি তালেবান নিয়ন্ত্রিত দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় হেলমান্দ প্রদেশের কৃষকরা আবারো পপি চাষ শুরু করেছেন। দেশটিতে বর্তমানে তীব্র অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। দেশটির আশপাশের সীমান্তগুলো বন্ধ থাকায় আলু, পেঁয়াজ ও অন্যান্য শস্য আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি সম্ভব হচ্ছে না। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বেশিরভাগ শস্য। স্থানীয় বাজারমূল্যও কম। এতে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। লাভজনক হওয়ায় তাই আবার পপি চাষ শুরু করেছেন তারা। একজন বলেন, এক কিলোগ্রাম আলু মাত্র পঞ্চাশ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। এ টাকায় আমরা ফসলের জন্য সার ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছি না। কিন্তু আফিম চাষ করলে ক্রেতারা বাড়ি এসে সেগুলো কিনছেন এবং অনেক লাভও হচ্ছে। আরও পড়ুন: নাইজারে বন্দুকধারীদের হামলায় মেয়রসহ নিহত ৬৯ দেশটির কর্মসংস্থানের একটি বড় ক্ষেত্র পপি ক্ষেত। জাতিসংঘের তথ্যমতে, ২০১৯ সালের তুলনায় আফগানিস্তানে গেল বছর পপি উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৩৭ শতাংশ। ২০১৯ সালেই পপি চাষ করে এক লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছিল। দেশটিতে আফিম চাষ বিদেশি সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে হুমকির কারণ হলেও এ মুহূর্তে তালেবান সরকার পপি চাষে কোনো ধরনের বাধা দিচ্ছে না। জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, আমরা অবশ্যই মাদকদ্রব্য সেবন ও উৎপাদনের বিরুদ্ধে। আফিম উৎপাদন তখনই বন্ধ হবে যদি কৃষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও বিকল্প জীবিকা নির্ধারণে অন্যান্য রাষ্ট্রগুলো আমাদের সহায়তা করে। গেল চার দশক ধরে আফগানিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিশীলতা, দুর্নীতি, বিরাজ করছে। তালেবান ক্ষমতা দখলের পর দেশটিতে অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি খাদ্যদ্রব্যের মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। জীবনজীবিকা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের। এমন পরিস্থিতিতে আফিম চাষে কৃষকরা আরও বেশি উদ্বুদ্ধ হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply