যুদ্ধশিশুদের নিয়ে আরও বেশি গবেষণার দাবি
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ধর্ষণের শিকার নারীদের গর্ভে জন্ম নেয় পরিচয়হীন অসংখ্য যুদ্ধশিশু। সঙ্গত কারণেই অনেক মা শিশুকে রাখেননি নিজের কাছে।
যুক্তরাষ্ট্রেও এই সংখ্যা কম নয়। ইতিহাসের স্বার্থে তাদের নিয়ে আরও বেশি গবেষণার দাবি প্রবাসী বাংলাদেশিদের।
মুক্তিযুদ্ধে ধর্ষণের শিকার নারীদের সন্তানদের বলা হয় ‘যুদ্ধশিশু’। যেসব নারীরা একাত্তরে বা তার পরে গর্ভবতী হন এবং গর্ভপাত করাতে পারেননি তাদের কোলে আলোর মুখ দেখে বহু শিশু। সামাজিক বঞ্চনার কারণে অনেক পরিবার সেসব সন্তানদের গ্রহণ করেনি।
যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে রেডক্রসের সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ডসহ বেশ কিছু দেশ যুদ্ধশিশুদের দত্তক নেয়। এসব দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে হাজার হাজার যুদ্ধশিশু। যারা আজ সেখানকার আলো বাতাসে বড় হয়ে রীতিমতো প্রতিষ্ঠিত।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে রয়েছে বহু যুদ্ধশিশু। এখানে থাকা বাংলাদেশিরা বলছেন, যুদ্ধশিশুদের সঠিক পরিসংখ্যান বের করা দরকার। এজন্য চান সরকারের সহযোগিতা।
লস আ্যন্জেলেসের কবি ও সাংবাদিক মুকতাদীর চৌধুরী তরুণ বলেন, সেই সময়কার যুদ্ধশিশুরা যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় হয়ে উঠেছে। তারা নিজেদের কাজ-কর্মে যুক্ত হয়েছে। এখন তাদের ওপর গবেষণা করার সময় হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর আঘাতে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে
এক তথ্যে জানা যায়, ১৯৭২ সালে রেডক্রসের মাধ্যমে প্রথম ১৫ জন যুদ্ধশিশুকে দত্তক নেয় কানাডার দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এসময় তাদের কারো বয়স ছিল ১৫ দিন, ৩ মাস, কিম্বা ৫ মাস। লেখা হয়নি কারো নাম, পরিচয় কিম্বা ঠিকানা।
কোন কোন ক্ষেত্রে লেখা হয় শুধু মায়ের জন্মস্থান। দীর্ঘ সময় পার হলেও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে তাদের খুঁজে বের করা বলে মনে করেন প্রবাসে থাকা একাত্তরের বীর মুক্তিসেনারা।
No comments: