Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের মডেল: রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত




রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত এইচইমিং আলেক্সন্ডার ম্যানটিটাক্সি বলেছেন, স্বাধীনতার পর খুব কম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে খুন হওয়ায় বাংলাদেশের উন্নতি ও অগ্রগতিতে ভাটা পড়ে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এই দেশটি এখন সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। এ জন্য বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে আমরা গর্বিত। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) অপরাহ্নে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে টাইগারপাসস্থ চসিকের অস্থায়ী ভবনে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাতকালে এ তিনি কথা বলেন। মত বিনিময় শেষে মেয়র ও রাষ্ট্রদূত লালদিঘি পার্কে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের নাবিক ইউরিজ রেডকিনের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। উল্লেখ্য, ইউজিন রেডকিন ১৯৭৩ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে হানাদার বাহিনী কর্তৃক কর্ণফুলীর বন্দর চ্যানেলে পুঁতে রাখা মাইন সরাতে গিয়ে আকস্মিক বিস্ফোরণে প্রাণ হারান। সাক্ষাতকালে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন নাবিকের আত্মবিসর্জনকে দুই বন্ধু রাষ্ট্রের মৈত্রীর বন্ধনকে মর্যাদাপূর্ণ ও সুদৃঢ় ভিত্তি দিয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের কূটনৈতিক অবদান ও ভূমিকা, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের সময় হানদার বাহিনীর বন্ধু রাষ্ট্রদের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক ভেটো প্রদানের ঘটনাটি ইতিহাসের পাতায় একটি স্বাধীন জাতিসত্তার অভ্যুদয়ের অন্যন্য নজির হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি আরো বলেন, একাত্তরে হানাদার বাহিনী তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে নবউদিত বাংলাদেশের অর্থনীতি পঙ্গু করার অসৎ উদ্দেশ্যে কর্ণফুলীর বন্দর চ্যানেলে শত-শত মাইন পুঁতে রাখে। চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেলকে সচল করার লক্ষ্যে চ্যানেলটিকে মাইনমুক্ত করতে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশের আহ্বানে সাড়া দেয় এবং তাদের নাবিকদের একটি দলের মাইনমুক্ত করার সফল অভিযানের ফলে চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেল আশঙ্খামুক্ত হয়ে গতিশীলতা ফিরে পায়। এজন্য রেডকিনের আত্মত্যাগ আমরা কখনো ভূলতে পারি না। তিনি শুধু বন্ধু নন, বাঙালির পরামাত্মীয়। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, চট্টগ্রামে এটি আমার প্রথম সফর। এখানকার প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয্য দেখে আমি মুদ্ধ। রাশিয়ার সহযোগিতায় এদেশে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হচ্ছে। এর কাজ সম্পন্ন হলে বাংলাদেশ পারমানবিক শক্তির অংশ হবে। তিনি এতদিন পরও তাদের নাবিক রেডকিনকে স্মরণ রাখায় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি বিশেষ করে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, রাশিয়ার অনারারি কনসাল স্থপতি আশিক ইমরান, রুমকি সেন গুপ্ত প্রমুখ।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply