আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইসি গঠনের আইনি কোনো বাধ্যবাধকতা নেই
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইসি গঠনের আইনি কোনো বাধ্যবাধকতা নেই বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, নির্বাচন কমিশন শূন্য থাকলেও সাংবিধানিক কোনো ব্যত্যয়য় হবে না। এদিকে সার্চ কমিটির একটি সূত্র জানিয়েছে, ২৪ ফেব্রুয়ারি তারা ১০ জনের নাম সুপারিশ করবেন রাষ্ট্রপতির কাছে।
নির্বাচন কমিশন গঠনে গত সপ্তাহে সার্চ কমিটির দুটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে আলোচনা হয় ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই কি নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে তা নিয়ে। কেননা এদিন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। এরপর পদ শূন্য হবে কমিশনে।
আগামীকাল শনি ও রোববার ৬০ জন বিশিষ্টজনের সঙ্গে বৈঠক করবে কমিটি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে যে নাম পড়েছে সেগুলো যাচাই-বাছাই করতেও লাগবে সময়। তিনদিনের মধ্যে যা সম্ভব নয়।
সার্চ কমিটির একটি সূত্র বলছে, সংবিধানে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই যে, ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ইসি গঠন করতে হবে। সে কারণে তাড়াহুড়ো না করে সার্চ কমিটির মেয়াদ ২৭ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার আগেই রাষ্ট্রপতির কাছে নির্বাচন কমিশন গঠনে ১০ জনের নাম সুপারিশ করবেন তারা।
আরও পড়ুন: ইসি গঠনে ১০ জনের তালিকা দিল আ. লীগ
আইন বিশেষজ্ঞরাও একমত সার্চ কমিটির এমন সিদ্ধান্তের সঙ্গে।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খানের মতে, ১৪ ফেব্রুয়ারি যদি নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষও হয়ে যায় তাতে আইনগত বা সাংবিধানিকভাবে কোনো সমস্য হবে না। কারণ এটা বাধ্যবাধকতার কোনো বিষয় না। যদি ২৮ ফেব্রুয়ারিও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেন তাতেও আইনে বা সংবিধানে কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না।
সংবিধানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতির পদ শূন্য হলে কে দায়িত্ব নেবেন তা বলা আছে। বাকি সাংবিধানিক পদ শূন্যতার বিষয়ে কিছু বলা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
Tag: English News lid news national
No comments: