মঈনের ছক্কা ঝড়ে অপেক্ষা বাড়লো খুলনার
ইংল্যান্ডের মঈন আলির অলরাউন্ড নৈপুন্যে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে নিজেদের নবম ম্যাচে ৬৫ রানে হেরে গেছে মুশফিকুর রহিমের খুলনা টাইগার্স। এই হারে প্লে-অফে খেলার অপেক্ষা বাড়লো খুলনার। ৯ ম্যাচে ৪ জয় ও ৫ হারে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চমস্থানে খুলনা। খুলনার সাথে প্লে-অফের দৌঁড়ে আছে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ৯ ম্যাচে ঢাকার পয়েন্ট ৯ ও চট্টগ্রামের ৮। এ ম্যাচ জিতে রান রেটে এগিয়ে থেকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠলো আগেই প্লে-অফ নিশ্চিত করা কুমিল্লা। ৯ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট আছে তাদের। সমানসংখ্যক ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট সাকিবের ফরচুন বরিশালেরও। মঈনের ৩৫ বলে ৭৫ রানের ইনিংসের সুবাদে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৮ রান করে কুমিল্লা। ২১৪ দশমিক ২৮ স্ট্রইক রেটে মঈন ৯টি ছক্কা ও ১টি চারে নিজের ইনিংসটি সাজান। জবাবে ১২৩ রানে অলআউট হয় খুলনা। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং বেছে নেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ব্যাট হাতে দলকে দারুন সূচনা এনে দেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দুই ওপেনার লিটন দাস ও মাহমুদুল হাসান জয়। মারমুখী মেজাজে ছিলেন লিটন। খুলনার স্পিনার নাবিল সামাদের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার থেকে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৬ রান তুলেন লিটন। পরের ওভারেও পেসার খালেদ আহমেদের বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কা হাকান লিটন। ঐ ওভারের পঞ্চম বলে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে জীবন পান লিটন। লিটনের ঝড়ের মাঝে ২টি চার আসে জয়ের ব্যাট থেকে। তবে পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে নাবিলের বলে আউট হন জয়। ১৫ বলে ১১ রান করেন তিনি। ২৭ বলে ৪৩ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় কুমিল্লা। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে রুয়েল মিয়াকে ছক্কা মেরে দলের স্কোর ৫২তে নেন লিটন। সপ্তম ওভারে প্রথমবারের মত আক্রমনে এসে প্রথম ডেলিভারিতেই ১৭ বলে ৪১ রান করা লিটনের উইকেট তুলে নেন কুমিল্লার শ্রীলংকার পেসার থিসারা পেরেরা। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা দিয়ে নিজের ইনিংস সাজান লিটন। তিন নম্বরে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ৮ বলে ৫ রান করে খালেদের প্রথম শিকার হন কুমিল্লার অধিনায়ক। ৭১ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর কুমিল্লার রানের ভিত গড়েন দুই বিদেশী দক্ষিণ আফ্রিকার ফাফ ডু-প্লেসিস ও ইংল্যান্ডের মঈন আলি। উইকেটে সেট হতে গিয়ে ১৭ বল বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি ছাড়া পার করে দেন ডু-প্লেসিস ও মঈন। ১৩তম ওভারে তিনটি ছক্কা আসে মঈনের কাছ থেকে। বোলার ছিলেন স্পিনার মাহেদি হাসান। এরপর পরের চার ওভারে সৌম্যকে তিনটি, খালেদ ও পেরেরাকে ১টি করে ছক্কা মেরে ২৩ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ২৫তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মঈন। মঈনের ছক্কা ঝড়ের মাঝে ৩৬ বলে ৩৮ রান করে থামেন ডু-প্লেসিস। সৌম্যর বলে কভারে ইয়াসিরকে ক্যাচ দেন প্রোটিয়ার ক্রিকেটার। ডু-প্লেসিস ও মঈন চতুর্থ উইকেটে ৪৬ বলে ৮৩ রানের জুটি গড়েন। ১ বল খেলে খালি হাতে ফিরেন আগের ম্যাচে শেষ দিকে ঝড় তুলে কুমিল্লাকে জয় এনে দেয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুনীল নারাইন। পেরেরার করা ১৯তম ওভারে ১টি করে চার-ছক্কা মারার পর আউট হন মঈন। ৩৫ বলে ৭৫ রানে ইনিংসে ১টি চার ও ৯টি ছক্কা মারেন মঈন। শেষদিকে উইকেটরক্ষক মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ৬ বলে অপরাজিত ১২ রানের বড় স্কোর পেয়ে যায় কুমিল্লা। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৮ রান করে তারা। খুলনার পেরেরা ২৮ রানে ২ উইকেট নেন। মঈনের ছক্কা বৃষ্টির পর ইনিংসের শুরুতেই মারমুখী হয়ে উঠেন খুলনার ওপেনার ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে ফ্লেচার। ১৮৯ রানের টার্গেটে নাহিদুল ইসলামের করা প্রথম ওভারেই ২টি ছক্কা মারেন ফ্লেচার। তবে দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে জ্বলে উঠেন মুস্তাফিজুর রহমান। পরপর দু’বলে ওপেনার রনি তালুকদার ও ফ্লেচারকে শিকার করেন ফিজ। রনি রানের খাতা খোলার আগে কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুলকে মিড অফে সহজ ক্যাচ দেন। আর ফ্লেচার লেগ বিফোর হন। এডিআরএস নিয়েও নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি ফ্লেচার। ৭ বলে ১৬ রান করেন তিনি। দুই বলে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর পাওয়ার প্লেতে খুলনার ইনিংসে মাত্র ১টি করে চার-ছয় আসে। এতে ৬ ওভারে রান উঠে ৪১। সপ্তম ওভারে প্রথমবারের মত আক্রমনে এসে ইয়াসিরকে তুলে নেন স্পিনার মঈন। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১৯ বলে ১৮ রান করেন ইয়াসির। ইয়াসিরের বিদায়ে উইকেটে এসেছিলেন খুলনার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। পেসার আবু হায়দারের প্রথম তিন বলে কোন রান নিতে পারেননি তিনি। তবে চতুর্থ বলে থার্ড ম্যানে নারাইনকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মুশফিক। খালি হাতে বিদায় নিতে হয় মুশফিককে। এতে ৪৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে খুলনা। চাপে পড়া খুলনাকে টেনে তোলার দায়িত্ব পান আগের ম্যাচে ৬৪ রানের লড়াকু ইনিংস খেলা জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা। সাথে ছিলেন সৌম্য। কিন্তু এবার দলের প্রয়োজনে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি রাজা। ছক্কায় ইনিংস শুরু করা রাজা ৮ রান করে আবু হায়দারের দ্বিতীয় শিকার হন। এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন সৌম্য। রাজার বিদায়ের পরের ওভারে বিদায় ঘটে তারও। মঈনের তৃতীয় ওভারে ইমরুলকে সহজ ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন সৌম্য। ৩টি চারে ২৫ বলে ২২ রান করেন সৌম্য। ১১তম ওভারে দলীয় ৬৭ রানে ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে সৌম্যেকে হারিয়ে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে খুলনা। আর ১৫তম ওভারে মাহেদি ও রুয়েল মিয়াকে তুলে নিয়ে কুমিল্লার জয়ের পথ সহজ করে ফেলেন স্পিনার নাহিদুল। শেষদিকে পেরেরার ২টি ছক্কায় ২৩ বলে ২৬ রান খুলনার হারের ব্যবধান কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ৩ বল বাকী থাকতে ১২৩ রানে অলআউট হয় খুলনা। কুমিল্লার আবু হায়দার ১৯ রানে ৩টি, নাহিদুল-মুস্তাফিজুর ও মঈন ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন কুমিল্লার মঈন। সংক্ষিপ্ত স্কোর : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ১৮৮/৬, ২০ ওভার (মঈন ৭৫, লিটন ৪১, পেরেরা ২/২৮)। খুলনা টাইগার্স : ১২৩/১০, ১৯.৩ ওভার (পেরেরা ২৬, সৌম্য ২২, আবু হায়দার ৩/১৯)। ফল : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৬৫ রানে জয়ী। ম্যাচ সেরা : মঈন আলি (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)।Slider
বিশ্ব
জাতীয়
সাম্প্রতিক খবর
খেলাধুলা
বিনোদন
ফিচার
mujib
w
যাবতীয় খবর
জিওগ্রাফিক্যাল
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News
No comments: