লুহানস্ক ও দোনেৎস্ককে ছয় দেশের স্বীকৃতি
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের স্বাধীনতাকামী লুহানস্ক ও দোনেৎস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে কিউবা, ভেনেজুয়েলা, নিকারাগুয়া, সিরিয়া এবং জর্জিয়া প্রদেশের ওসেটিয়া ও আবখাজিয়া। দোনবাসকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বিশ্বের সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। খবর আলজাজিরার।
এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন লুহানস্ক ও দোনেৎস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দেন। মঙ্গলবার রাশিয়ার এই নীতিকে অনুসরণ করার জন্য আহ্বান জানায় রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শান্তি রক্ষার জন্য দোনেৎস্ক ও লুহানস্কে রুশ সেনা পাঠানোর জন্য পুতিনের নির্দেশ দেওয়ার এক দিন পর এই আহ্বান জানাল দেশটি। উদাহরণ হিসেবে রাশিয়ার পথ অনুসরণ করার জন্য বিভিন্ন দেশকে আহ্বান জানিয়ে এক বিবৃতিতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, পশ্চিমা দেশগুলোর নিন্দা সত্ত্বেও বিদ্রোহীদের মস্কোর স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি সহজ ছিল না। কিন্তু এটিই ছিল একমাত্র সম্ভাব্য পদক্ষেপ।
খনি অঞ্চল দোনবাসের মূল শহর বলা হয় দোনেৎস্ককে। এর চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে খনিজ বর্জ্য। খনিপ্রধান এ শিল্পকেন্দ্র এক সময় পরিচিত ছিল 'স্টালিনো' নামে। ইউক্রেনের অন্যতম প্রধান ইস্পাত উৎপাদন কেন্দ্রও এ শহরটি। এখানে বর্তমানে ২০ লাখ মানুষের বসবাস।
অন্যদিকে, শিল্প শহর লুহানস্ক এক সময় পরিচিত ছিল 'ভরোশিলোভগ্রাদ' নামে। এখানকার বর্তমান অধিবাসীর সংখ্যা ১৫ লাখ। খনি উপত্যকায়ই একে অন্যের সঙ্গে এসে মিলেছে শহর দুটি। বড় কয়লা মজুতের ঘাঁটি হিসেবে খ্যাত কৃষ্ণসাগরের উত্তর তীর দিয়ে রাশিয়ার সঙ্গেও সীমান্ত রয়েছে দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের।
২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে রাশিয়া ক্রিমিয়া সংযুক্ত করে নেয়। এর পরই ক্রেমলিন সমর্থিত এক বিদ্রোহে কিয়েভের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে অঞ্চল দুটি। দোনবাস উপত্যকাকে কেন্দ্র করে চলছে কিয়েভ ও মস্কোর এক সাংস্কৃতিক লড়াইও। মস্কো বলছে, পূর্ব ইউক্রেনের বড় একটি অঞ্চলজুড়ে থাকা রুশ ভাষাভাষীদের ইউক্রেনীয় জাতীয়তাবাদের হাত থেকে রক্ষা করা প্রয়োজন।
No comments: