নদী নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে বেশি কেউ ভাবে না: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের পর নৌপথ খননের জন্য ৭টি ড্রেজার এনেছিলেন। এরপর দীর্ঘ সময় সরকারি ড্রেজার আসেনি। কিন্তু আমরা ক্ষমতায় এসেই ড্রেজার সংযোজন করেছি। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে বেশি কেউ নদী নিয়ে ভাবছে না। রোববার (১৩ মার্চ) মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব বর্ষে বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজার বেইজ উদ্বোধন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ভাস্কর্য উদ্বোধন এবং সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সকলের জন্য চিন্তা করছেন। তিনি পদ্মাসেতু নির্মাণের মাধ্যমে সকল জনগণকে এক কাতারে নিয়ে এসেছেন। পদ্মা সেতুর পিলারে যখন ধাক্কা লাগে তখন বিএনপির নেতারাও আফসোস করেছিল। এ থেকে বোঝা যায় প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পগুলো কতটা গুরুত্ব বহন করে। আরও পড়ুন: নেত্রকোনার নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিত বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম‍্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ‍্যে বক্তব‍্য রাখেন সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, লৌহজং উপজেলা চেয়িরম‍্যান ওসমান গনি তালুকদার ও লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ সিকদার। প্রতিমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর সাহসী সিদ্ধান্ত আমাদের মর্যাদার জায়গায় নিয়ে গেছে। মানুষ পদ্মা সেতু দেখতে এসে ইতিহাস সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীর ভাস্কর্য দেখতে পাবে এবং বঙ্গবন্ধুর স্ট্রাগল সম্পর্কে জানতে পারবে। দেশের ইতিহাসে এটিই প্রথম বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ভাস্কর্য। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত‍্যার পর বাংলাদেশের মানুষ মর্যাদা ও সম্মানের জায়গা পায়নি। বঙ্গবন্ধুর রক্তের যোগ‍্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মর্যাদা জায়গায় নিয়ে গেছেন। পদ্মা সেতু নির্মাণের সাহসী সিদ্ধান্ত আমাদের সম্মানের জায়গায় নিয়ে গেছে। সরকার দশ হাজার কিলোমিটার ন‍ৌপথ খননের জন্য কাজ করছে। নৌপথ খননের লক্ষ‍্যে আওয়ামী লীগ সকার ৪০টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছে, আরও ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের কার্যকম চলমান। দ্রুত ও স্বল্প সময়ে বিআইডব্লিউটিএ'র ড্রেজারসমূহ মেরামত, সংরক্ষণ ও অপারেশনে সহায়তার লক্ষ‍্যে সরকার দেশে পাঁচটি 'ড্রেজার বেইজ' স্থাপন করছে।