Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » ইউক্রেন থেকে পালিয়ে আসা উদ্বাস্তুদের দুর্দশার কাহিনি শুনলেন ব্লিংকেন




ইউক্রেনের সীমান্তে পোল্যান্ডের কর্কজোয়ায় বৈঠকের পর হাঁটছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমত্রো কুলেবার। মার্চ ৫, ২০২২। (ছবি- এপি) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন শনিবার (৫ মার্চ) ইউক্রেনের সীমান্তে পোল্যান্ডের কর্কজোয়ার একটি শপিং মলে পোলিশ কর্তৃপক্ষের বানানো একটি শরণার্থী কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এই কেন্দ্রটিতে প্রায় ৩ হাজার ইউক্রেনীয় শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন। পরে ব্লিংকেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমত্রো কুলেবার সঙ্গে দেখা করার জন্য সংক্ষিপ্ত সফরে ইউক্রেনে যান। কুলেবা ভবিষ্যদ্বাণী করেন রাশিয়া পরাজিত হবে, কিন্তু মানুষকে বাঁচাতে আরও সামরিক সহায়তা চান তিনি। শরণার্থী কেন্দ্রে আমেরিকার শীর্ষ এই কূটনীতিক ইউক্রেনীয় মা এবং তাদের সন্তানদের কাছ থেকে বিভীষিকাময় কাহিনি শুনেছেন। ব্লিংকেনের কাছে তারা তাদের দীর্ঘ এবং বিপজ্জনক যাত্রার বর্ণনা দেন। “আমাদের বাড়ির কাছে আমরা বোমার শব্দ শুনেছি”, ১২ বছরের ভেনেরা আহমাদি জানায়। সে তার এক ভাই, এক বোন, ছয়টি কুকুর এবং সাতটি বিড়াল নিয়ে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে ৬০০ কিলোমিটারেরও (৩৭২ মাইল) বেশি পথ পাড়ি দিয়ে পোল্যান্ডে এসেছে। “আমরা হেঁটে সীমান্তে এসেছি, কত ঘণ্টা জানি না। আমরা পায়ে হেঁটে সীমান্ত পার হয়েছি।” তার ১৬ বছর বয়সী বোন জেসমিন বলেন, “আমি ভয় পেয়েছিলাম যে, আমি বোধ হয় মারা যাব।” ৪৮ বছর বয়সী নাটালিয়া কাদিগ্রোব জার্মানিতে তার ভাইয়ের বাড়িতে যাওয়ার পথে বাসে করে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার (প্রায় ৫০০ মাইল) পাড়ি দিয়ে ক্রোপিভনিটস্কি থেকে তার চার দত্তক সন্তানকে নিয়ে এই কেন্দ্রে পৌঁছান। তার স্বামী ইউক্রেনে থেকে যান। “সেখানে রুশ বাহিনী বিমানবন্দরে বিমানে বোমা মেরেছে”, তিনি বলেন। “অবশ্যই আমরা ভয় পেয়েছিলাম।” ব্লিংকেন তারপরে কর্কজোওয়া সীমান্ত পার হয়ে কুলেবার সঙ্গে সাক্ষাত করেন। সেখানে পোলিশ কর্তৃপক্ষ হালকা বরফে ঢাকা ইউক্রেনীয় শহর ক্রাকোভেটস থেকে শরণার্থীদের ছোট ছোট দলকে—প্রতি দলে ২০ জন করে—নিয়ে যাচ্ছিল। এসব শরণার্থীদের মধ্যে ছিলেন প্রধানত নারী, শিশু ও বয়স্ক পুরুষদের দল। ছোট শিশুদের কোলে তাদের পোষা প্রাণী। কোনোরকমে গোছানো জিনিসপত্রের ব্যাগ নিয়ে তারা অস্থায়ী শরণার্থী ক্যাম্পে যাচ্ছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে, তিনি একটি সাধারণ বার্তা দিতে চান, “ইউক্রেন এই যুদ্ধে জয়ী হবে, কারণ এটি তাদের নিজেদের ভূমির জন্য জনগণের যুদ্ধ এবং আমরাও তাদেরকে সমর্থন করি”। তিনি আরও বলেন “প্রশ্ন হলো কী মুল্যে সেটা পাওয়া যাবে, আমাদের বিজয়ের মুল্য কী হবে”। ব্লিংকেন কুলেবা, প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি এবং অন্য কর্মকর্তাদের সংকটের সময় তাদের সাহসিকতা এবং “অনুপ্রেরণাদায়ক” নেতৃত্বের জন্য প্রশংসা করেন। তিনি বলেন যে, ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন এবং যুদ্ধ শেষ করার জন্য রাশিয়ার ওপর চাপ, দুটোই বৃদ্ধি করা হবে, “যতক্ষণ না চাপিয়ে দেওয়া এই যুদ্ধ শেষ হয়।” কুলেবা যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের জন্য ব্লিংকেনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ইউক্রেনের আরও বেশি সহায়তার প্রয়োজন, যদি না বিজয় পেতে চরম মুল্য দিতে হয়। শুক্রবার নেটো ইউক্রেনে একটি নো-ফ্লাই জোন করার জন্য ইউক্রেন এবং অন্যদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করায় কুলেবা দুঃখ প্রকাশ করেন। “আমরা এখন সেই পর্যায়ে আছি যেখানে হয়তো বলা সহজ, ‘না, আমরা এমনটা করব না’, কিন্তু সময় আসবে”, কুলেবা বলেন। “আবারও সেই মূল্যের প্রশ্ন। ইউক্রেনের জনগণকে নেটোর অনীহার মূল্য দিতে হবে”।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply