চেলসির মালিকসহ ৭ রুশ অলিগার্ককে যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা
এবার রোমান আব্রাহোমভিচসহ আরও ছয় রাশান অলিগার্ককে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করল যুক্তরাজ্য।
যুক্তরাজ্য সরকার জানিয়েছে, রাশিয়ান সাত ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের যাতায়াতেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এই নিষেধাজ্ঞায় পড়াদের ভেতর চেলসি ফুটবল ক্লাবের মালিক রোমান আব্রাহোমোভিচও রয়েছেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইউক্রেনে ভ্লাদিমির পুতিনের হামলাকে সমর্থন জোগানো কারও কোথাও স্বর্গরাজ্য থাকা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন। এই সাত ব্যবসায়ীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৫ বিলিয়নেরও বেশি। নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী ব্রিটেনের কোনো কোম্পানি তাদের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে পারবে না।
ব্রিটিশ নিষেধাজ্ঞায় পড়া এই সাত অলিগার্ক হলেন-
রোমান আব্রাহোমবিচ, চেলসির মালিক
অলেগ ডেরিপাস্কা, ইন+ গ্রুপে যার স্টেক আছে
ইগর সেচিন, রোসনেফটের প্রধান নির্বাহী
আলেক্সি মিলার, গ্যাজপ্রমের প্রধান নির্বাহী
নিকোলাই টোরাকেভ, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পাইপলাইন কোম্পানি ট্রান্সনেফটের প্রধান
দিমিত্রি লেবেদেফ, ব্যাংক রশিয়ার চেয়ারম্যান
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে রুশ ধনকুবের ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সমন্বিত ও ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র সরকার। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন-ঘনিষ্ঠ অভিজাতদের সম্পদ হাতিয়ে নিচ্ছে সরকারগুলো। রাশিয়ার এসব অভিজাতদের অলিগার্ক নামেই চেনে বিশ্ব।
তারা যে এমন পরিস্থিতিতে পড়বেন—বহু আগেই স্বয়ং প্রেসিডেন্ট পুতিন সতর্ক করে দিয়েছিলেন। নিজেদের রক্ষায় আগেভাগেই প্রস্তুত হতে বলা হয়েছিল তাদের। এরপর ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে একীভূত করলে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে রাশিয়ার তিক্ততা বাড়ে। তখন থেকেই রুশ ধনকুবেরদের ওপর শুরু হয় ক্রমাগত নিষেধাজ্ঞা।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনে খুবই ঝুঁকি রয়েছে: ডব্লিউএইচও
পুতিনের হুঁশিয়ারি পাওয়ার পর ধনকুবেরদের কেউ কেউ রাশিয়ায় বিনিয়োগ শুরু করেন। বাকিরা তাদের অর্থের একটি অংশ বিদেশি কোম্পানি ও ফুটবল ক্লাবে রেখে দেন। বিদেশি শেয়ারবাজারেও তারা তালিকাভুক্ত আছেন। ইউক্রেনযুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার পর থেকে রুশ ধনকুবেরদের খারাপ সময়ই যাচ্ছে বলা চলে। তাদের বিশাল বিশাল প্রমোদতরি ও প্রাসাদগুলো পশ্চিমা দেশগুলো জব্দ করে নিয়ে যাচ্ছে। বিপদ ও ভীতি তাদের পিছু ছাড়ছে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্টেট অব ইউনিয়ন ভাষণে বলেছেন, তাদের প্রমোদতরি, বিলাসবহুল অ্যাপার্টম্যান্ট ও হেলিকপ্টার জব্দ করা হবে। ইউরোপীয় মিত্রদের মতো আমরাও তাদের অবৈধ সম্পদ কেড়ে নেব।
তাদের সম্পদ খুঁজে বের করতে মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয় একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে টাস্কফোর্স ক্লেপটোক্যাপচার। পশ্চিমা সরকারগুলো বলছে, পুতিনের ঘনিষ্ঠতা থেকে লাভবান হয়েছেন অলিগার্করা। তাদের অনেকেই রাশিয়ার বাইরে বসবাস করছেন। সম্পত্তি ক্রয় ও অন্যান্য বিনিয়োগের মাধ্যমে তারা দেশটির স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙা করেছেন। এখন তাদের চেপে ধরার সময় এসেছে।
Tag: English News games
No comments: