দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকটে ইউরোপ
প্রতিবেশী দেশগুলোতে ইউক্রেন থেকে ১৫ লাখ মানুষ পালিয়েছেন। কিয়েভ-মস্কোর চলমান যুদ্ধে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বেশি ও দ্রুত সময়ে শরণার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে।
রোববার (৬ মার্চ) জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা এমন তথ্য দিয়েছে।
তবে শরণার্থীর সঠিক সংখ্যা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো হালনাগাদ তথ্য মেলেনি। বর্তমানে ইউক্রেন সফরে রয়েছেন সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি।
এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, কেবল সাতদিনের মধ্যে আমরা দশ লাখ মানুষের ঢল দেখেছি। ইউক্রেন থেকে তারা প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র জোয়াং-আহ গেডিনি-উইলিয়ামসন বলেন, গেল ২ মার্চ মধ্যরাতে শরণার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনের জনসংখ্যার দুই শতাংশের বেশি অন্য দেশে পাড়ি জমাতে চাইলে এই ঢল নেমেছে।
ইউক্রেনের দুই শহর মারিউপুল ও ভলনোভাক থেকে নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার দ্বিতীয় দফার চেষ্টার সময়ে শরণার্থীদের নিয়ে নতুন এই তথ্য দিলেন ফিলিপ্পো গ্রান্ডি।
আরও পড়ুন: সেই প্রসূতি হাসপাতালে চলছে যুদ্ধাহতদের চিকিৎসা
স্লোভাকিয়া, রোমানিয়া, পোল্যান্ড, মালডোভা ও হাঙ্গেরি হাজার হাজার শরণার্থীকে স্বাগত জানাচ্ছে। ইউক্রেনের শরণার্থীর সিংহভাগকে আশ্রয় দিয়েছে পোল্যান্ড। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দেশটিতে সাড়ে ছয় লাখ শরণার্থী প্রবেশ করেন।
এছাড়া মালডোভায় ৯৬ হাজার শরণার্থী ঢুকেছেন। ফ্রান্সের বন্দরনগর ক্যালিয়াসে জড়ো হওয়া শরণার্থীদের সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের মানবিকতার অভাব ছিল বলে অভিযোগ করেছে ফ্রান্স।
পরিবারের সঙ্গে মিলিত হতে দেড়শর মতো ইউক্রেনের নাগরিক যুক্তরাজ্যে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাদের ফিরিয়ে দিয়ে বলা হয়েছে, তারা যাতে প্যারিস কিংবা ব্রাসেলসের কনস্যুলেট নিয়ে ভিসা নিয়ে আসেন।
যুদ্ধবিধ্বস্ত শরণার্থীদের সঙ্গে সঠিক আচরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গেরাল্ড ডামানিন।
Tag: English News world
No comments: