Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » ৭ মার্চ: ‘কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না’




এ একাত্তরের সাতই মার্চ। পরাধীনতার নাগপাশ থেকে মুক্তির জন্য উদ্বেলিত বাঙালির স্বাধীনতার ডাক এসেছিল এই দিনে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে অসহযোগ আন্দোলনে স্থবির ঢাকায় দিনের কর্মসূচি ঘিরে গুঞ্জন- বঙ্গবন্ধু সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে পারেন। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনতে সকাল থেকেই লাখো জনতার ভিড় ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)। বেলা সোয়া ৩টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আসেন উপস্থিত হন। মঞ্চে এসে দাঁড়ালে জনতা করতালি ও ‘জয়বাংলা’ স্লোগানে অভিনন্দন জানায়। তৎকালীন রেসকোর্সের জনসমুদ্রে ২৩ বছরের বঞ্চনার ইতিহাস তুলে ধরে সেদিন বঙ্গবন্ধু বলেন, “আমরা যখন মরতে শিখেছি; কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। “রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” বঙ্গবন্ধু আহ্বান জানান, “প্রত্যেক ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল, তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে।” জনতার কণ্ঠে তখন উচ্চারিত হচ্ছিল শ্লোগান, ‘জাগো জাগো- বাঙালি জাগো’, ‘পাঞ্জাব না বাংলা- বাংলা বাংলা’, ‘তোমার আমার ঠিকানা- পদ্মা মেঘনা যমুনা’, ‘তোমার নেতা আমার নেতা- শেখ মুজিব, শেখ মুজিব’, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো- বাংলাদেশ স্বাধীন করো’, ‘তোমার দেশ আমার দেশ- বাংলাদেশ’। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ সম্প্রচার করা হবে, এমন ঘোষণায় সারা বাংলায় শ্রোতারা অধীর আগ্রহে রেডিও নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সামরিক কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়। ‘ঢাকা বেতারে’ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার না করার প্রতিবাদে বাঙালি কর্মচারীরা কাজ বর্জন করেন এবং ৭ মার্চ বিকেল থেকে ঢাকা বেতার কেন্দ্রের সব অনুষ্ঠান প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। গভীর রাতে সামরিক কর্তৃপক্ষ ঢাকা বেতারে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পূর্ণ বিবরণ প্রচারের অনুমতি দিলে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ দিয়ে ঢাকা বেতার কেন্দ্রের সম্প্রচার আবার চালু হয়। সেই রাতেই আওয়ামী লীগ ১০ দফার ভিত্তিতে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়। টিক্কা খান ঢাকায় আসেন। বিভিন্ন স্থানে বাঙালি-অবাঙালি সংঘর্ষ ও সামরিক বাহিনীর গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply