রাষ্ট্রীয় নীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না পাকিস্তানের আদালত
বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তাল পাকিস্তান। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ঘিরে চলছে নানা নাটকীয়তা। ইমরানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পদক্ষেপ বৈধ নাকি অবৈধ সে বিষয়ে মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) শুরু হয় প্রথম দিনের শুনানি। তবে শুনানি শুরুর পরপরই তা স্থগিত করা হয়।
পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল
ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া সাংবিধানিক কি না, সে বিষয়ে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের রায় পিছিয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) প্রথম দিনের শুনানি শুরু হলেও বুধবার (৬ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ১১টা পর্যন্ত তা মুলতবি ঘোষণা করেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এ সময় দেশের রাষ্ট্রীয় ও পররাষ্ট্রনীতিতে হস্তক্ষেপ করা হবে না বলে কোর্টের পক্ষ থেকে সাফ জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ‘অবাধ্য ইমরান খানকে সাজা দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র’
দেশটির প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল বলেন, পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ও পররাষ্ট্রনীতিতে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না সুপ্রিম কোর্ট। কেবল অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর মত দেবে আদালত। তবে মুলতবি ঘোষণার আগে আদালতের পক্ষ থেকে অনাস্থা প্রস্তাব বাতিলের ওপর পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের কার্যবিবরণীর নথি চাওয়া হয়।
বুধবার (৬ এপ্রিল) আবারও শুনানি শুরুর কথা রয়েছে। এদিন ইমরান খানের দল তাদের যুক্ততর্ক তুলে ধরবে আদালতের সামনে। দেশটির প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে।
চলমান অস্থিরতার মধ্যেই মঙ্গলবার লাহোরের পাঞ্জাবে গর্ভনর হাউসে এক অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো নিজ দল তেহরিক-ই-ইনসাফের ভুল-ভ্রান্তির কথা স্বীকার করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেন, পিটিআই অতীতে যেসব ভুল করেছে তার জন্য চরম মূল্য দিতে হচ্ছে তাদের। অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে তার দল এগিয়ে যাবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সাংবিধানিক সংকটের মুখে পাকিস্তান
এদিকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করছে মন্তব্য করে মস্কো বলেছে, অবাধ্য ইমরান খানকে শাস্তি দিতে চায় ওয়াশিংটন। এক বিবৃতিতে রাশিয়ার মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভ এমন মন্তব্য করেন।
No comments: