জ্বালানি বাজার খুঁজতে আফ্রিকা সফরে ওলাফ শলজ

রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দিশেহারা ইউরোপ। নতুন জ্বালানি বাজার খুঁজতে ইতালির পর এবার জার্মানিও আফ্রিকামুখী। জার্মান চ্যান্সেলর হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথমবার আফ্রিকা সফরে গেলেন ওলাফ শলজ। ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের পর পাল্টে গেছে বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যুদ্ধের কারণে দেখা দিয়েছে জ্বালানি সংকটসহ সামাজিক অস্থিরতা। এ অবস্থায় সবচেয়ে কঠিন সংকটের মুখে আফ্রিকা। মহাদেশটির পুরোনো সব সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ সন্ত্রাসবাদ, নতুন নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তির সন্ধান, ইউরোপগামী অবৈধ অভিবাসী ঢল ঠেকানোসহ দ্বিপক্ষীয় নানা ইস্যুতে আফ্রিকা সফরে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ। রোববার (২২ মে) সেনেগালের রাজধানী ডাকার পৌঁছান তিনি। পরে দেশটির প্রেসিডেন্ট মেকি সাল-এর সঙ্গে বৈঠক শেষে শলজ বলেন, বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের অন্যতম বড় কারণ ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা অভিযানের কারণে শুধু আফ্রিকা নয় পৃথিবীর সব কটি দেশই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত। বিশেষ করে পুরো বিশ্বেই খাদ্য সংকট ধীরে ধীরে বাড়ছে। কারণ, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন খাদ্যশস্য রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। একই সঙ্গে ইউক্রেনে শস্য উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংকট আরও গভীর হয়েছে। আরও পড়ুন: রাশিয়ার ওপর নির্ভরতা কমাতে আফ্রিকামুখী ইউরোপের দেশগুলো সেনেগালের প্রেসিডেন্ট মেকি সাল বলেন, ‘আমাদের আজকের আলোচনা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তি ও তার নতুন উৎস সন্ধান এবং ব্যবহারের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। এ অবস্থায় জ্বালানির নতুন বাজার খুঁজতেই আফ্রিকা সফরে গেছেন জার্মান চ্যান্সেলর। দেশটিতে মজুত থাকা কয়েক বিলিয়ন ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করতেই দেশটিতে সফরে গেছেন শলজ। সেনেগালের পাশাপাশি নাইজার এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার কথা তার।