ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা শুরু রাশিয়ার

ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা শুরু রাশিয়ার

দিনটি ছিল চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ। নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে এদিন ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ সেনারা। মঙ্গলবার (২৪ মে) সেই অভিযানের তিন মাস পূর্ণ হয়েছে। আর এ দিনটিকে ধরেই ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সর্বাত্মক হামলা শুরু করেছে রুশ সেনারা। সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, রাশিয়ার এ সর্বাত্মক হামলার ফলাফলই ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশবাহিনীর সফলতা বা ব্যর্থতা নির্ধারণ করতে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধের তিন মাসের মাথায় মঙ্গলবারই (১৪ মে) ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে ভূগর্ভস্থ মেট্রো পুনরায় চালুর কথা ছিল স্থানীয় কর্তৃপক্ষের। রুশ বাহিনীর হামলা থেকে প্রাণ বাঁচাতে ভূগর্ভস্থ এ মেট্রোতেই আশ্রয় নিয়েছেন হাজারো বেসামরিক মানুষ। খারকিভের মেট্রো পুনরায় চালুর সিদ্ধান্তকে অনেকে দেখছেন গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনের বৃহত্তম সামরিক সাফল্যের প্রতীক হিসেবে। আরও পড়ুন: ইউক্রেনে রাশিয়ার এক হামলায় নিহত ৮৭ কিন্তু যুদ্ধের সবশেষ পর্বের নির্ণায়ক লড়াই এখন ইউক্রেনের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলেই চলছে, যেখানে পূর্বাঞ্চলীয় দুটি প্রদেশ দোনেৎস্ক এবং লুহানস্কের দোনবাস অঞ্চল দখলের চেষ্টা করছে মস্কো। শুধু তাই নয়, ইউক্রেনের সেনাদের পূর্বাঞ্চলের একটি এলাকায় আটকে রাখার চেষ্টা করছে রুশ বাহিনী। এদিকে ইউক্রেনের দেসনা শহরে রাশিয়ার বিমান হামলায় ৮৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গত মঙ্গলবার (১৭ মে) এ হামলা চালানো হয় বলে জানান তিনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর এটিই রাশিয়ার সবচেয়ে বড় একক হামলা, যাতে একসঙ্গে এত মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। হামলার দিন রাশিয়ার এক সামরিক মুখপাত্র বলেন, চেরনিহিভ অঞ্চলের দেসনা শহরের কাছে ইউক্রেনের সামরিক প্রশিক্ষণ ঘাঁটিতে আমাদের সফল ও দূরপাল্লার একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। হতাহতের খবর জানালেও হামলায় নিহতরা সামরিক নাকি বেসামরিক ব্যক্তি, তা উল্লেখ করেননি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তবে দেসনা শহরের কাছে একটি সামরিক ব্যারাক এবং প্রশিক্ষণ ঘাঁটি রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। আরও পড়ুন: শান্তি আলোচনার মধ্যেই বিস্ফোরণে কাঁপছে ইউক্রেন এর আগে মার্চের মাঝামাঝি সময়ে ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনে ৩০০টির মতো বিমান হামলা চালায় রাশিয়া। সে সময় সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমান হামলা বাড়ালেও ইউক্রেনের আকাশসীমা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে মস্কো।