বায়োগ্যাসে কি ফ্রান্সের জ্বালানি সমস্যার সমাধান হবে রাশিয়ার গ্যাস না পেয়ে জ্বালানির বিকল্প উৎস হিসেবে বায়োগ্যাস উৎপাদন ও ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে ফ্রান্স। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর দেশটিতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট তৈরির উদ্যোগ বেড়েছে।
এরই মধ্যে রাজধানী প্যারিসের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একটি গ্রামে বায়োগ্যাস তৈরির একটি প্ল্যান্ট নজর কেড়েছে। এখান থেকে অন্তত ২ হাজার বাড়িতে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। ফ্রান্সের অন্যান্য এলাকায়ও এ ধরনের বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইউরোপে জ্বালানির সবচেয়ে বড় অংশ সরবরাহ হয় রাশিয়া থেকে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর থেকে তাই জ্বালানি নিয়ে সংকটে ইউরোপের দেশগুলো। বিশ্বনেতারা যখন খুঁজছেন জ্বালানির বিকল্প ব্যবস্থা, তখন আলোচনায় ফ্রান্সের ইয়োভেলাইন প্রদেশের সোনচ্যাপ অঞ্চলের বায়োগ্যাস প্ল্যান্টটি। যেখানে ফেলে দেয়া আর্বজনা থেকে তৈরি হচ্ছে গ্যাস। যা সরবরাহ করা হচ্ছে প্রায় ২ হাজার বাড়িতে। আরও পড়ুন : রাশিয়ার বিজয় দিবসে পুতিনের ভাষণ বায়োগ্যাস প্ল্যান্টটির উদ্যোক্তা ক্রিস্টোফ রবিন বলছেন, ‘বিষয়টা খুবই সহজ। আমরা শস্য এবং সবজির উচ্ছিষ্ট যোগাড় করি। তারপর সেগুলোকে পচাই। সেখান থেকে যে গ্যাস বের হয় সেটাকেই প্রক্রিয়াজাত করে সরবরাহ করা হয়।’ ফ্রান্স তাদের চাহিদার এক চতুর্থাংশ গ্যাস আমদানি করে রাশিয়া থেকে। একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আর রাশিয়ার পাল্টা শর্তারোপের কারণে বন্ধ গ্যাস সরবরাহ। ফলে বিকল্প জ্বালানির দিকে ঝুঁকছে দেশটি। বর্তমানে ফ্রান্সের মোট চাহিদার ২ শতাংশ গ্যাস আসে এই বায়ো-মিথেন প্রকল্পগুলো থেকে। যা সরবরাহ করা হচ্ছে ৩ লাখ ৬২ হাজার বাড়িতে। এরই মধ্যে ফ্রান্সের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্ল্যান্টের উদ্যোক্তা আরও বলছেন, এ ধরনের প্রকল্পে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সময়। একেকটি প্রকল্প তৈরি করতে প্রায় দেড় বছর সময় লাগে। যদি এখনই উদ্যোগ নেওয়া হয় তাহলে ফ্রান্সের গ্রামাঞ্চলগুলোতে ২০২৩ সালের মধ্যেই প্রয়োজনীয় গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে। বিশেষ করে স্কুল, হাসপাতাল এবং সুইমিংপুলগুলোর জন্য সবচেয়ে উপযোগী এ ধরনের গ্যাস। আরও পড়ুন : ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের মুখে বিশ্ব, জার্মানির সতর্কতা রাশিয়ার ওপর থেকে নির্ভরতা কমাতে ২০৩০ সালের মধ্যে চাহিদার ২০ শতাংশই বায়োগ্যাস থেকে মেটনোর পরিকল্পনা ফ্রান্সের। সেক্ষেত্রে রাশিয়া থেকে গত বছর আমদানি করা গ্যাসের চেয়ে এর পরিমাণ বেশি হবে। ২০২১ সালে বায়োগ্যাস থেকে দেশটির মোট জ্বালানি চাহিদার প্রায় ১ শতাংশ পূরণ হয়েছে এবং চলতি বছর তা ২ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এতেও শেষ পর্যন্ত সমস্যার সমাধান হবে না বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। জার্মান বায়োগ্যাস অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র আন্দ্রেয়া হরবেল্টের মতে, বায়ো-মিথেন উৎপাদন কয়েক বছরের মধ্যে দ্বিগুণ হলেও তা সস্তা হবে না। হরবেল্ট আরও বলেন, ‘অন্তত রুশ গ্যাসের চেয়ে অন্য যে কোনো উৎস থেকে গ্যাস আমদানি করতে হলে ফ্রান্সকে অতিরিক্ত খরচ করতে হবে। তিনি বলেন, বিদ্যুতের জন্য বায়োগ্যাস ব্যবহার করা সৌর ও বায়ুর চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল, এবং সর্বদা তাই থাকবে।’Slider
বিশ্ব
জাতীয়
সাম্প্রতিক খবর
খেলাধুলা
বিনোদন
ফিচার
mujib
w
যাবতীয় খবর
জিওগ্রাফিক্যাল
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News
No comments: