Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » কামানের গোলায় কাঁপছে ইউক্রেনের লিসিচানস্ক




কামানের গোলায় কাঁপছে ইউক্রেনের লিসিচানস্ক

পূর্ব ইউক্রেনের শহর লিসিচানস্ক। রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধের কেন্দ্রে পরিণত হওয়া অন্যতম শহর। লুহানস্ক অঞ্চলের এ শহর বুধবার ভারী বোমাবর্ষণের কবলে পড়ে। তীব্র লড়াইয়ে শহরটি ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতিরে শিকার। কিয়েভ থেকে ৬০০ কিলোমিটার (৩৭৩ মাইল) দূরের এ শহর কাঁপছে কামানের গোলায়। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে উড়ছে ধোঁয়া। এর মধ্যে দুই পক্ষই বেশ কিছুদিন ধরে লড়াই চালিয়ে আসছে। সেখানে ঘরবাড়ি ও সড়ক একেবারে খালি বললেই চলে। কারণ বাসিন্দারা চলে গেছেন অন্য জায়গায়। কেননা, শহরে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি কিছুই নেই। থাকবে কীভাবে, এসবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নানা স্থাপনায় যে চলছে লাগাতার বোমাবর্ষণ! শহরটির ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে তুর্কিয়ের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়। চলছে মানুষ সরিয়ে নেওয়া কাজ যে সব বেসামরিক নাগরিক ওই অঞ্চল ছাড়তে চান তাদের লিসিচানস্ক শহরে আনা হচ্ছে ইউক্রেনের সেনাদের সহযোগিতায়। সেখান থেকে গাড়িতে করে নেওয়া হচ্ছে নিরাপদ শহরে। ২৯ বছর বয়সি সন্তানসম্ভবা রমণী তাতিয়ানা উডাভেঙ্কো তার ৮ বছর বয়সি মেয়েকে নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন গাড়ির জন্য। তিনি বলেন, আমরা দিনিপ্রো শহরে যেতে পারি। তার চাওয়া যত দ্রুত সম্ভব ওই শহরে পৌঁছানো। উডাভেঙ্কো বলেন, আমার সন্তান প্রসবের সময় হয়ে এসেছে। যে কোনো সময় সন্তান জন্ম নিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে অপেক্ষা করা ও দাঁড়ানো কঠিন। ওই নারীর স্বামী ভিটয়া ব্রাসুক বলেন, পুরো পরিবার এ অঞ্চল ছেড়ে যেতে চাই। তিনি বলেন, আমরা ভালোর জন্য যাচ্ছি। আমরা তরুণ অবস্থা থেকেই নতুন জীবন শুরুর চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রকৃতপক্ষে, আমরা সেখানে কতদিন থাকব তা নির্ভর করছে যুদ্ধের ওপর। তাদের মেয়ে এলেনা জানাল, সে যুদ্ধের কারণে অত্যন্ত ভীত। এলেনা বলছে, সে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। বন্ধুদের ও স্কুলকে তার খুবই মনে পড়ছে। সে স্বপ্ন দেখছে, যুদ্ধ দ্রুতই শেষ হবে। লিসিচানস্কের পাশের শহর সেভেরোদোনেৎস্কেও চলছে তীব্র লড়াই। দুই শহরের মধ্যে দূরত্ব খুব বেশি নয়। ফলে বিস্ফোরণ ও লড়াইয়ের শব্দ সহজেই শোনা যায় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়। রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে। প্রথমদিকে রুশ সেনারা কিয়েভের কাছাকাছি চলে গেলেও সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। পরে জানানো হয় পরিবর্তন এসেছে তাদের যুদ্ধের পরিকল্পনায়। জানানো হয়, এখন দক্ষিণ ও পূর্ব ইউক্রেন দখলই মস্কোর অন্যতম লক্ষ্য। এর পরই এ অঞ্চলে ব্যাপক হামলা চালাতে থাকে রুশ সেনারা। এর মধ্যে বড় ধরনের সাফল্য ধরা দেয় তাদের হাতে। দীর্ঘদিনের চেষ্টার পর বন্দরনগরী মারিওপোল নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয় রাশিয়া। এখন দেশটি দোনবাসের লুহানস্কের অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply