মাঙ্কিপক্স: জরুরি অবস্থা ঘোষণার কথা ভাবছে ডব্লিউএইচও
মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়ায় বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হবে কি না; সেই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এ ঘটনায় জাতিসংঘের সংস্থাটির সমালোচনা করে আফ্রিকার শীর্ষ বিজ্ঞানীরা বলেন, রোগটি তাদের অঞ্চলে বহু বছর ধরে সংকট তৈরি করে রেখেছে। খবর রয়টার্স।
২০২০ সালের শুরুতে বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন দেশের সরকার ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলো তা যেভাবে মোকাবিলা করছে, তাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পদক্ষেপ নিয়ে তদন্ত ও বিচার-বিবেচনা করা হয়েছে।
মহামারির প্রাদুর্ভাব ঘটলে ডব্লিউএইচওর সর্বোচ্চ সতর্কতা হলো আন্তর্জাতিক উদ্বেগগুলোতে ‘জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা’। বিশ্বের শীর্ষ স্বাস্থ্য সংস্থাটি মহামারি ঘোষণা করে না, তবে ২০২০ সালের মার্চে করোনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে তারা এই পরিভাষাটি ব্যবহার করেছে।
আরও পড়ুন: কানাডায় সোওনা-বাথ থেকে ছড়িয়েছে মাঙ্কিপক্স, বলছেন চিকিৎসকরা
সরকারগুলো ২০২০ সালের জানুয়ারিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণার বদলে রোগ নিয়ন্ত্রণে অনেক দেরিতে পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে করোনার লাগাম টানতে বড় ধরনের কোনো ব্যবধান তৈরি করতে পারেনি দেশগুলো।
তবে করোনাভাইরাসের মতো এতটা দ্রুত ছড়ায় না মাঙ্কিপক্স। কিন্তু রোগটি এখন মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। এখন পর্যন্ত আফ্রিকার বাইরে ৪০টি দেশে রোডেন্টবাহিত রোগটি ছড়িয়েছে। মে থেকে রোগীর সংখ্যা বেড়ে তিন হাজারের বেশি হয়েছে।
মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের ব্যাঙ্গুই প্যাসটুয়ার ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ইমানুয়েল নাকুন বলেন, যখন উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কোনো রোগ ছড়ায়, তখন সেটিকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হচ্ছে না। কিন্তু উন্নত দেশগুলোতে ছড়ালেই জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বদলাচ্ছে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের নাম
মাঙ্কিপক্সের ওষুধ নিয়ে গবেষণা চালিয়ে আসছেন এই গবেষক। তিনি বলেন, যদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোনো জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে, তবে অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যদি প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশগুলোর মধ্যে সমানভাবে পদক্ষেপ নেয়ার রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকে, তবে প্রতিটি দেশের জন্যই তা উপকারী হবে
No comments: