বিতর্কে জড়ালেন ইলন মাস্ক
কর্মীদের বাড়ির বদলে অফিসে এসে কাজ করতে বলায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক। আবার এ সমালোচনার জবাবও দিয়েছেন মার্কিন এই প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোক্তা স্কট ফারকুহারের সঙ্গে বাহাসেও জড়িয়েছেন তিনি। রয়টার্স।
করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বের অনেক বড় বড় কোম্পানিই তাদের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ দিয়েছিল। বর্তমানে করোনা সংক্রমণ তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রণে আসায় কর্মীদের অফিসে ফিরতে বলছে কোম্পানিগুলো। কিন্তু অনেক কর্মীই আর অফিসে ফিরতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
এমন অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক তার কর্মীদের অফিসে ফেরার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা অফিসে বসেই কাজ করতে হবে। তারপর আরও কাজ করতে চাইলে বাড়ি বা অন্য কোথাও বসে তা করা যেতে পারে।
কর্মীদের উদ্দেশে মাস্ক বলেন, এবার অফিসে এসেই কাজ করতে হবে। যারা অফিসে আসতে চান না, তারা অন্য চাকরি খুঁজে নিন। মাস্কের এই কড়া বার্তা কর্মীদের ই-মেইল করেও জানানো হয়, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন : ইলন মাস্ক ও টুইটারের বিরুদ্ধে মামলা
টেসলাপ্রধানের এই বার্তার সমালোচনা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আটলাসিয়ান পিএলসির সহপ্রতিষ্ঠাতা স্কট ফারকুহার। ইলনের নির্দেশনাকে উপহাস করে একাধিক টুইট করেন তিনি। টুইটবার্তায় তিনি বলেন, মাস্কের এ নির্দেশনা ১৯৫০-এর দশকের নির্দেশনার মতো।
ফারকুহার আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ‘যেকোনো জায়গা থেকে কাজ’ করার নীতি হলো আমাদের অব্যাহত প্রবৃদ্ধির চাবিকাঠি। টেসলার কর্মীর চাকরির প্রস্তাব দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে আটলাসিয়ানের কর্মীসংখ্যা ২৫ হাজারে উন্নীত করা। টেসলার কোনো কর্মচারী কি আগ্রহী?’
ফারকুহারের এসব মন্তব্য ভালোভাবে নেননি ইলন। জবাব দিয়ে বলেছেন, ফারকুহারের টুইটগুলোই স্পষ্ট করছে, মন্দায় কেন অর্থনীতি ভেঙে পড়ে। তবে ইলন মাস্কের পক্ষে এমন বাহাস নতুন কোনো ব্যাপার নয়। স্পর্শকাতর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়ই টুইটারে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন : আবারও শিরোনামে ইলন মাস্ক!
২০২০ সালের শুরুর দিকে বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বিশ্বজুড়ে অফিসের কাজ চালিয়ে যেতে বাড়ি থেকে কাজ বা ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ নিয়ম ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এতে খরচও কমে অনেক কোম্পানির। অনেক ক্ষেত্রে পুরো কোম্পানিই অনলাইনভিত্তিক হয়ে গেছে।
কিন্তু করোনার দাপট কমার পর বেশির ভাগ কোম্পানিই আবার কর্মীদের অফিসে ফেরানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। কিন্তু ওয়ার্ক ফ্রম হোমের স্বাচ্ছন্দ্য ছেড়ে অফিসে ফিরতে নারাজ কর্মীদের একটি অংশ। পরিস্থিতি এমনই যে, এ জন্য চাকরি ছাড়তেও দ্বিধা করছেন না অনেকে।
এর আগেও কর্মীদের প্রতি এমন ‘কড়া’ ব্যবহার করে শিরোনামে এসেছিলেন ধনকুবের ইলন। ‘স্পেসএক্স’-এ শিক্ষানবিশদের একটি দলকে লাইন দিয়ে বিনা মূল্যের কফি খেতে দেখে তিনি রেগে গিয়েছিলেন। হুমকি দিয়েছিলেন ছাটাইয়েরও।
Tag: English News Featured world
No comments: