Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » মেহেরপুরে নানা কারনে বিলুপ্ত দেশী প্রজাতির মাছ




সারা দেশের ন্যায় মেহেরপুরেও গেলো সপ্তাহে ঘটা করে মৎস্য সপ্তাহ পালন করা হলেও নদী নালা খনন ও সংরক্ষনের অভাবে দেশীয় প্রজাতির মাছ আজ বিলুপ্তির পথে। বান ,পবদা, বাওলি, বাঁশপাতা,ময়া, খয়রা,চিংড়ি সহ প্রায় ৫০ প্রজাতির দেশী মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আর হাতে গোনা কিছু মাছ পুকুরে আবাদ করা হলেও তার দাম সাধারন ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।

জেলা মৎস্য বিভাগের হিসাব মতে জেলায় ৫টি নদী, ১৪টি খাল, ১০টি বিল ও প্রায় ৫ হাজারেরও অধিক পুকুর আছে। এর মধ্যে খননের অভাবে নদী, খাল এবং বিলগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি থাকেনা বললেই চলে। কয়েক বছর আগে যেখানে প্রায় প্রায় ৫০ প্রজাতির দেশী মাছ পাওয়া গেলেও এর মধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে অধিকাংশ । যে ১০ থেকে ১৫ প্রজাতির মাছ চোখে f-3পড়ে তাও সংরক্ষনের অভাবে বিলুপ্তির পথে । ফলে আমিষের ঘাটতি পূরনে এখন সাদা জাতের মাছ চাষের দিকে ঝুকেছে চাষীরা। দেশী প্রজাতির মাছগুলোর দাম ছিল ১’শ থেকে দেড়শ টাকা সেই মাছই এখন বিক্রি করতে হচ্
ছে ৫শ থেকে ৬শ টাকা কেজি। অপরদিকে নদী নালায় মাছ না পাওয়া যাওয়ায় নদী পাড়ের জেলেদের জীবিকা নির্বাহ করতে এখন অন্য পেশায় চলে যেতে হচ্ছে। মেহেরপুর বড়বাজারে কিনতে আসা এক মহিউদ্দিন নামের এক ক্রেতা জানান, যে চিংড়ি কয়েক বছর আগে ১’শ টাকায় পাওয়া যেত তার দাম এখন ৫’শ থেকে ৬’শ টাকা। বড়বাজারের মাছ বিক্রেতা পিন্টু হালদার জানান, ডোবা নালায় পানি না থাকায় পুকুরে আবাদ করে কিছু দেশি প্রজাতির মাছ বাজারে আসছে। সেগুলোর অনেক দাম দিয়ে কিনতে হওয়ায় বিক্রি করতে হচ্ছে বেশী দামে।
f-1জেলে আবুল কাশেম জানান জানান, আগে অনেক বৃষ্টি হতো ফলে অনেক প্রজাতির দেশী পাওয়া যেত । সেখানে থেকে নদী পাড়ের প্রায় দেড় দু হাজার মানুষ মাছ শিকার করে তাদের সংসার নির্বাহ করতো। কিন্তু এখন বৃষ্টি না হওয়ায় দেশী মাছ পাওয়া না যাওয়ায় অধিকাংশ জেলেরা পেশা বদলিয়ে অন্য কাজে চলে গেছে। মাছ উৎপাদনকারী ও ব্যাবসায়ী মুহিত আলী জানান, মেহেরপুর জেলা থেকে বেশ কিছু মাছ বিলুপ্তি হয়ে গেছে। শুকনো ও খরার কারনে নদী নালায় পানি না জমায় মাছগুলো বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তার মধ্যে বান ,পবদা, বাওলি, বাঁশপাতা, ময়া, খয়রা, চিংড়িসহ প্রায় ৫০ প্রজাতির মাছ। এর মধ্যে চিংড়ি মাছ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাজারে আসে। এদিকে দেশয়ি প্রজাতির মাছ বিলুপ্তি হয়ে যাওয়ায় আমরা সাদা জাতের বিভিন্ন মাছ চাষ করে জেলার আমিষের চাহিদা পুরন করার চেষ্টা করছি। f-4জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শেখ মেছাবাউল হক জানান, দেশী প্রজাতির মাছ বিলুপ্তি হয়ে যাওয়ায় এটা মৎস্য বিভাগের জন্য বিড়ম্বনার ব্যাপার। তবে অভয়াশ্রম ও বিল নার্সারি পদ্ধতিতে দেশী প্রজাতির মাছ গুলো সংরক্ষনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। তবে নদীর নাব্যতা, পরিকল্পিতভাবে খনন, অভয়াশ্রম ও বিল নার্সারী পদ্ধতির মাধ্যমে আবারো দেশীয় প্রজাতির মাছের চাহিদা পূরন করা সম্ভব বলে প্রত্যাশা করেন জেলা বাসী।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply