এক সময় গ্রাম বাংলা মানেই মাটির দেয়াল ও খড়ের ছাউনির ঘরের দৃশ্য চোখে পড়ত। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় এ ঘরগুলো এখন বিলুপ্তির পথে। এসব ঘর এখন আর বেশি একটা দেখা যায় না। খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, যেখানে মেহেপুরের প্রতিটি গ্রামে চোখে পড়তো প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মাটির দেয়াল বিশিষ্ট খড়ের ছাউনির তৈরি ঘর। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি এলাক ঘুরেও সেই মাটির দেয়াল বিশিষ্ট খড়ের তৈরি ঘর তেমনটা আর চোখে পড়েনি। তাছাড়া এসব ঘর তৈরির কাজে নিয়োজিতদের অনেকেই ইতোমধ্যে তাদের পেশা পরিবর্তন করে নিয়েছেন। পূর্ব মালসাদহ গ্রামে এমন একজনকে পাওয়া গেল, যিনি এসব ঘর তৈরির কাজ করতেন, এখন পেশা বদলেছেন। নাম মোতাহার আলী। জানান, আগেকার দিনের মাটির তৈরি দেয়াল ও খড়ের ছাউনির তৈরি ঘরের জায়গাগুলো দখল ক
রে নিয়েছে ইট, বালি, সিমেন্ট, লোহার রড, টিন ও কংক্রিটের ব্লকের তৈরি বড় বড় বিল্ডিং-অট্টালিকা। বিল্ডিং তৈরিতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় তারাও কর্ম হারিয়েছেন। ফলে মাটির দেয়াল বিশিষ্ট খড়ের ছাউনির ঘর বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ায় তিনিও পেশা পরিবর্তন করে টিনের ছাউনির কাজ বেছে নিয়েছেন। একই কথা জানিয়েছেন আজিজুল হক ও বাবু। তাছাড়া অনেকেই পেশা পরিবর্তন করে ইজিবাইক বা পাখি ভ্যান চালকের পেশা বেছে নিয়েছেন। mud houseবয়সের ভারে ন্যুব্জ বৃদ্ধ ফয়েজ উদ্দিন জানান, ৩০-৩৫ আগে তার বাড়িটি ছিল মাটির দেওয়াল বিশিষ্ট চার চালা খড়ের ছাউনির ঘর। শুধু তাই নয় পাশে মাওলা বক্সের ছিল আটচালা খড়ের ছাউনির ঘর। বাড়ির সামনে ছিল বড়োসড়ো একটি বৈঠকখানা। সেখানে স্থানীয় বিরোধ সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করা হতো। মাটির দেয়াল বিশিষ্ট ঘরের খড়ের ছাউনি থাকার ফলে গরমের সময় ঠান্ডা ও ঠান্ডার সময় গরম অনুভূত হত। ওই জায়গাটি দখল করেছে এসি। সেই সময় ঘরের চালের ছাউনির উপর নির্ভর করেও অনেকের ব্যক্তিত্ব পরিমাপ করা হতো। অথচ ইট, বালি, লোহার রড ও সিমেন্ট, ও বর্তমানে অত্যাধুনিক কংক্রিট ব্লকের ভিড়ে মাটির দেয়াল ও খড়ের ছাউনির ঘর তার অস্তিত্ব হারাচ্ছে। মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার কচুইখালী গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের (৪৪) বাড়িতে গিয়ে দেখা মেলে মাটির দেয়াল বিশিষ্ট খড়ের ছাউনির একটি ঘর। জানান, তিনি পেশায় একজন দিনমজুর। সংসারের ব্যয় নির্বাহ করে বাড়তি অর্থ গচ্ছিত সম্ভব হয়নি। ফলে আধুনিকতার ছোঁয়া তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। গ্রামের অন্য সকলে বাড়ি ঘরের চেহারা পরিবর্তন করলেও অর্থের অভাবে তিনি রয়ে গেছেন সেই পুরনো ঐতিহ্যে। তোফাজ্জেল বলেন, প্রতি ১-২ বছরে একবার খড় পরিবর্তন করতে হয়। এ ধরনের খড়ের ছাউনি কাজে নিয়োজিত অনেকেই পেশা পরিবর্তন করার ফলে খড়ের ছাউনি করাতেও অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। আগের তুলনায় মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে জীবন যাত্রার মানেরও উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আর তাই হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙালিদের চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী মাটির দেয়াল বিশিষ্ট খড়ের ছাউনি ঘরের চিহ্নটি। হয়ত সেই দিন আর বেশি দূরে নয়, খড়ের ছাউনির ঘরের কথা মানুষের মন থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে। আগামী প্রজম্ম রূপকথার গল্পে এই ঘরকে স্থান দিতে স্বাছন্দবোধ করবে।Slider
বিশ্ব
জাতীয়
সাম্প্রতিক খবর
খেলাধুলা
বিনোদন
ফিচার
mujib
w
যাবতীয় খবর
জিওগ্রাফিক্যাল
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Home
»
Education
»
Zilla News
» মাটির দেয়াল-খড়ের ঘরের ঘরের দৃশ্য মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কচুইখালী ওপূর্ব মালসাদহ গ্রামে
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News
No comments: